বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১

অন্তর্র্বতী সরকারের পাঁচ মাসেও মেধার আগে কোটা!

রাজীব রায়হান | প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ১৪:৩৭

ছবি: সংগৃহীত

আবার দেখা গেল কোটাবিরোধী আন্দোলনের ঝলক৷ তার রেশে ২০২৪-২৫ সালের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্বাচিতদের ভর্তি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হলেও এখনো হয়নি সমাধান৷ গত জুলাই-আগস্টে কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন রুপ নেয় অভ্যুত্থানে। পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র প্রতিনিধিদের কেউ কেউ এখন অন্তর্র্বতী সরকারের উপদেষ্টা। তাদের ‘পছন্দের' মানুষদের নিয়ে গঠিত হয়েছে অন্তর্র্বতী সরকার। এ সরকারের সাড়ে ৫ মাস পর আবার কেন দেখতে হলো কোটা বাতিলের আন্দোলন?

গত রবিবার দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।এরপর থেকেই মেডিকেলে ভর্তিতে কোটার বিষয়টি সামনে আসে। আন্দোলনকারীদের দাবি, মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ সব ‘অযৌক্তিক' কোটা বাতিল করে মেডিকেল কলেজে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল পুনঃপ্রকাশ করতে হবে। এই দাবিতে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে স্মারকলিপিও দেন।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমীন ডয়চে ভেলেকে বলেন, "আমরা বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের ‘মেডিকেল/ডেন্টাল কলেজে এমবিবিএস/বিডিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা-২০২৫' অনুসরণ করেছি। সেখানে হাইকোর্টের রায় ও সরকারের সর্বশেষ প্রজ্ঞাপনের আলোকেই কোটা রাখা হয়েছে। আমরা তাই করেছি। সরকার এ বিষয়ে ভিন্ন কোনো সিদ্ধান্ত দিলে আমরা সেটা প্রতিপালন করবো।”

ডা. রুবীনা ইয়াসমীন বলেন, "আমরা কোটায় উত্তীর্ণদের প্রমাণাদি যাচাই করবো। আসলেই তারা সংশ্লিষ্ট কোটার উপযোগী কিনা। এজন্য আমরা ২৩ ও ২৬ জানুয়ারি পিছিয়ে পড়া পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর কোটায় নির্বাচিত প্রার্থীদের প্রমাণাদিসহ অধিদপ্তরে ডেকেছি। মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত আসনে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের কোটার সপক্ষে সনদ/প্রমাণকসহ ২৭, ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি ডেকেছি। প্রমাণাদি যাচাই করে ঠিক পাওয়া গেলে ভর্তির সুযোগ পাবে, না হলে পাবে না। আমার ধারণা মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যে ১৯৩ জন টিকেছে তাদের মধ্যে কাগজপত্র যাচাইয়ে ১০০ জনও টিকবে না।”

২০২৪-২৫ সালের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্বাচিত ১৯৩ জনের ভর্তি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২০২৪-২৫ সালের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্বাচিত ১৯৩ জনের ভর্তি সাময়িকভাবে স্থগিত করার কথা জানায়৷

এখন কোটা কত?

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে ২০২৪ সালের ২৩ জুলাই বিগত সরকার কোটার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। সেই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, আধা-স্বায়ত্বশাসিত, স্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠান ও সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষের এবং বিভিন্ন কর্পোরেশনের চাকরি বা কর্মে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধাভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ১ শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে।

এছাড়া দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও নিয়োগে ৫ শতাংশ কোটা পেয়ে থাকেন। সম্প্রতি এই ৫ শতাংশ কোটা বাতিলের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই কোটা বাতিল করেছে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ৫ শতাংশ কোটা এখন বহাল রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)-র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ ডয়চে ভেলেকে বলেন, "আমি আশা করবো, শিক্ষার্থীদের অনূভূতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষ সম্মানের সঙ্গে দেখবে। শিক্ষার্থীদের অনুভূতিকে প্রাধান্য দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও আমার বিশ্বাস।”

জানা গেছে, বিগত সরকারের সবশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোটা পদ্ধতি বহাল আছে। বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর কোটার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, যতক্ষণ না নতুন করে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত না দেয়, ততক্ষণ বিদ্যামান কোটা বহাল রেখে নিয়োগ অব্যাহত থাকবে।

আবার কোটা বাতিলের প্রসঙ্গ

গত রবিবার ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। এতেই সামনে আসে কোটার প্রশ্ন। মেধায় ৭৩ নম্বর পেয়েছেন এমন প্রার্থী ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হতে পারেননি, কিন্তু কোটায় ৪১ নম্বর পেয়েও নির্বাচিত হতে পেরেছেন। বিষয়টি নিয়ে সেদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। তিনি লিখেন, "ভর্তি পরীক্ষায় এখনো কিসের কোটা? আজ থেকেই এই শোষণের শেষ হতে হবে। ফুলস্টপ।”

মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় কোটা পদ্ধতি রাখার প্রতিবাদে রবিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। এ সময় তারা কোটাবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, এক কঠিন গণআন্দোলনের মধ্যদিয়ে স্বৈরাচার পতনের ইতিহাস লেখা হয়েছে।

মনে রাখতে হবে, এই কোটা আন্দোলনের মাধ্যমেই সেই গণআন্দোলনের শুরু। কিন্তু বর্তমান সরকারের ছয় মাস হয়ে গেলেও এখনো কোটা প্রথার বিলুপ্তি দেখা যায়নি। এখনো কেউ কোটার জোরে ৪১ পেয়ে চান্স পায়, আরেকজন ৭৩ পেয়েও চান্স পায় না। যেই বৈষম্য নিরসন করতে গিয়ে রাজপথে নামতে হয়েছিল, সেই বৈষম্য দূর করতে যদি আবারও নামতে হয়, তাহলে এই সরকারেরও পরিণতি হাসিনার মতো হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক বাকের মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, "আমাদের আশা ছিল বর্তমান সরকার বিষয়টির সুরাহা করবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এটার সুরাহা না হওয়া হতাশার। আমরা ইতিমধ্যে ছাত্র উপদেষ্টাদের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি বলেছি। শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি।

আশা করছি, দ্রুতই সুন্দর একটা সুরাহা হবে। তবে কোটা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে, সেটা কিন্তু যৌক্তিক। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে, কিন্তু দেখেন ৫ শতাংশ পূরণ হয়নি। যেটা পূরণ হয় না সেই পরিমান কোটা কেন রাখতে হবে? বরং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, গ্রামীণ নারীরা এখন পিছিয়ে আছেন। ফলে আমরা বলছি, সবাইকে নিয়ে কোটা বিষয়টির একটা যৌক্তিক সুরাহা করতে হবে।”

স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে দেওয়া শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় এবার মুক্তিযোদ্ধা কোটার জন্য সিট বরাদ্দ করা হয়েছে ২৬৯টি, যা গতবার ছিল ১০৮টি। যেখানে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কাট মার্ক ৭৩ দশমিক ৭৫, সেখানে ৪০ মার্ক পেয়ে কয়েকজন চান্স পেয়েছেন।

উপযুক্ত মার্ক না পেয়েও অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা কোটার মাধ্যমে দেশের শীর্ষস্থানীয় মেডিকেল কলেজে সুযোগ পান। আমরা এই বৈষম্য কোনোভাবেই মেনে নেবো না। কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা প্রাণ দিলো, অথচ দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় পোষ্য কোটা আজও বহাল আছে। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটা নিয়ে কথা উঠেছে। সরকারের পাঁচ মাস হয়ে গেল, অথচ শিক্ষার্থীদের অনূভূতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারছে না।

সোমবার দিনভর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সমাধান হয়নি। তাদের হাতে হাইকোর্টের রায় ও সরকারের প্রজ্ঞাপন আছে। সে আলোকে তারা কোটা রেখেছেন। এর বাইরে তাদের যাওয়ার সুযোগ নেই।

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমীন ডয়চে ভেলেকে বলেন, "সরকার সাড়ে ৫ মাসেও কোটার বিষয়ে গুরুত্ব দেয়নি। এটা দুঃখজনক। কোটা কোনো যৌক্তিক পদ্ধতি না। এটা আধুনিক কোনো দেশের প্রত্যাশিত পদ্ধতি হতে পারে না। তবে বাংলাদেশের কিছু বাস্তবতা আছে। এখানে আসলেই কিছু পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী আছে। এখানে নারীরা যাতে এগিয়ে আসতে না পারে, সে আয়োজন আছে।

বিভিন্ন শুমারি ও গবেষণাকে সামনে রেখে অংশীজনদের সঙ্গে বসে বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে একটি কমিশন গঠন করে গ্রহণযোগ্য কোটার মাত্রা ঠিক করা যেতে পারে। আবার আমরা কিন্তু তাদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের নিশ্চয়তা এখনো দিতে পারিনি। তাহলে একটা জনগোষ্ঠী থেকে একজন কোটায় চাকরি পেল তাতে ওই জনগোষ্ঠীর কি লাভ হবে? ফলে আমাদের সবকিছু নিয়েই সমাধানে যেতে হবে।”

মেডিকেলে কোন কোটায় কতজন সুযোগ পেয়েছে?

২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় মোট আবেদন করেন এক লাখ ৩৫ হাজার ৬৬৫ জন। এর মধ্যে এক লাখ ৩১ হাজার ৭২৯ জন পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। ৬০ হাজার ৯৫ জন ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৬৮৬ জনের মধ্যে পাস করেন ১৯৩ জন। তাদের জন্য বরাদ্দ আসন ৫ শতাংশ বা ২৬৯টি। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ৯৪৬ জনের মধ্যে ২৮২ জন পাস করেছেন। তাদের জন্য ৩১টি আসন বরাদ্দ। সমতলের উপজাতি ২৫৫ জনের মধ্যে ৬৬ জন পাস করেছেন। তাদের জন্য আটটি আসন বরাদ্দ।

এবার ভর্তি পরীক্ষায় পাসের হার ৪৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। পাস নম্বর ৪০। সর্বোচ্চ নম্বর ৯০ দশমিক ৭৫ পেয়েছেন একজন শিক্ষার্থী। সরকারি মেডিকেল কলেজের পাঁচ হাজার ৩৮০টি আসনে এবং ৬৭টি অনুমোদিত বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ছয় হাজার ২৯৩টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। সরকারি মেডিকেল কলেজে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময়সীমা আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির অনলাইন আবেদন গ্রহণের বিজ্ঞপ্তি আগামী ২৩ জানুয়ারি প্রকাশিত হবে।

মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল পুনরায় প্রকাশের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সদ্য প্রকাশিত এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা ২০২৪-২৫ এর ফলাফল অনুযায়ী, কোটার বদৌলতে ১০০ নম্বরের মধ্যে কেবল ৪১ থেকে ৪৬ নম্বর পেয়েও বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী। ফলে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি নম্বর পেয়েও যোগ্য শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন না। এতে শিক্ষার্থীদের বড় একটা অংশেরই মেডিকেল কলেজে পড়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে যাচ্ছে। এই কোটা ব্যবস্থা বহাল থাকা ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, যা মূলত অন্তর্র্বতী সরকারের ব্যর্থতার বহিঃপ্রকাশ। সূত্র: ডয়চে ভেলে




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top