দেশকে অস্থিতিশীল করতে ভারতে আওয়ামী লীগ নেতাদের গোপন বৈঠক

ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এরপর দলটির প্রধ্ন শেখ হাসিনাসহ অনেক নেতা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। ফলে কার্যত ভারতে বসেই আওয়ামী লীগ নেতারা তাদের দলীয় কার্যক্রম চালাচ্ছেন।

এভাবেই বিদেশে বসে দেশে থাকা কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।  কতজন আওয়ামী লীগ নেতা ভারতে রয়েছেন? কীভাবে তারা যোগাযোগ করছেন নিজেদের মধ্যে? এসব প্রশ্নের উত্তর কিংবা গোপন সিক্রেট ওপেন হয়েছে গণমাধ্যমে।

দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে আওয়ামী লীগের একটি গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় গত ১৫ জানুয়ারি কলকাতার পার্ক হোটেলে।এমন তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এই বৈঠকের কথা জানানো হয়।

সেই বৈঠকে কেবল আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাই নয়, ছাত্রলীগের সাবেক এবং বর্তমান নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, অসীম কুমার উকিল, যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাট, এবং ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন, আল নাহিয়ান খান জয়, গোলাম রব্বানী, লেখক ভট্টাচার্য, শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান, সিদ্দিকী নাজমুল আলম। এছাড়া, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মেহের আফরোজ শাওন এবং চিত্রনায়িকা সোহানা সাবা।

কেন এই গোপন বৈঠক। গণমাধ্যম বলছে, গোপন এই বৈঠকে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার উদ্দেশ্য ছিল। দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার পরিকল্পনা ছিল। আলোচনা হয় দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে। আর এজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত আসে।

প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়ে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে অস্থিরতা এবং সম্ভাব্য ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র নিয়ে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মজবুত ঐক্য গড়ার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।