বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনে আমেরিকার হাত নেই: ট্রাম্প

Nasir Uddin | প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:০১

ছবি: এনডিটিভি

বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনে আমেরিকা বা আমেরিকান ডিপ স্টেটের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) একজন ভারতীয় সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি। এসময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার পাশে বসেছিলেন।

হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওয়াশিংটনে, ১৩ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেলে বৈঠক শেষে তারা যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প দাবি করেছেন, বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতায় আসার বিষয়টিতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ধরনের ভূমিকা নেই। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর ওপর নির্ভরশীল হতে চান।

এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, "বাংলাদেশের সরকারের পরিবর্তনে আমাদের কোনো ভূমিকা নেই। আমি শুনেছি, ওই দেশের প্রধানমন্ত্রী অনেক বছর ধরে ক্ষমতায় ছিলেন এবং তিনি আরও দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন। আমি এ বিষয়টি সম্পর্কে কিছু তথ্যও সংগ্রহ করেছি। আমি বাংলাদেশকে তার বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে ওপরেই ছেড়ে দিতে চাই।"

এখানে ট্রাম্পের বক্তব্য, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিবর্তন এবং সেখানকার শাসনব্যবস্থা নিয়ে কোনো আন্তর্জাতিক চাপ বা যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের বিষয়টি স্পষ্টভাবে অস্বীকার করা হয়েছে।

মোদীর বিষয়ে ট্রাম্প বলেছেন, আমাদের মধ্যে দারুণ সম্পর্ক রয়েছে।

তবে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভালো হলেও বাণিজ্য নিয়ে দুই নেতার মধ্যে বেশ মতপার্থক্য রয়েছে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কাছে কোটি কোটি ডলারের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করবে এবং ভবিষ্যতে দিল্লিকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করা হবে।

বৈঠকে অভিবাসন ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়। ট্রাম্প আশা করেন, ভারত যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত কয়েক হাজার অনথিভুক্ত অভিবাসীকে ফিরিয়ে নেবে।

এর আগে মোদী বলেন, তিনি স্পেস, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন নিয়ে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইলন মাস্কের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। মোদী আরও বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, ট্রাম্পের সঙ্গে আমরা তার প্রথম মেয়াদের তুলনায় দ্বিগুণ গতিতে কাজ করবো।
এদিকে, ট্রাম্প তার উপদেষ্টাদের নির্দেশ দিয়েছেন, বিশ্বব্যাপী মার্কিন বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর নতুন শুল্ক নির্ধারণ করতে। এসব শুল্ক আগামী ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি। শুল্ক আরোপ হতে যাওয়া সম্ভাব্য দেশের তালিকায় ভারতেরও নাম রয়েছে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top