সাজেকে পুড়ল ৯০টির অধিক স্থাপনা
Nasir Uddin | প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৬:০০

মেঘ-পাহাড়ের উপত্যকা রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ভ্যালি পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুড়ে গেছে প্রায় হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও স্থানীয়দের বসতিসহ ৯০টি স্থাপনা। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া ১টার দিকে সাজেক ভ্যালি পর্যটনকেন্দ্রের ‘অবকাশ ম্যানুয়েল রিসোর্ট’সহ আশপাশের এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়লে এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন।
তারা বলছে, অগ্নিকাণ্ডে আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ ৫০ কোটি টাকা। আগুনে ৩৫টি বসতবাড়ি পুড়ে যাওয়ায় চরম সংকটে স্থানীয় লুসাই ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ২০০ মানুষ। ফায়ার সার্ভিস বলছে, দুর্গম এলাকায় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় বেড়েছে আগুনের ক্ষয়ক্ষতি।
সাজেকের ইতিহাসের ভয়াবহতম অগ্নিকাণ্ডে রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট ও দোকানের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্থানীয়রা। আগুনে ঘরবাড়ি পুড়ে যাওয়ায় সাজেকের রুইলুই পাড়ার একটি স্টোন গার্ডেনে রাত কাটিয়েছে স্থানীয় লুসাই ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর মানুষ।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী আগুনের ঘটনায় ৯০টির অধিক স্থাপনা ভস্মীভূত হয়েছে। আগুনে লুসাই জনগোষ্ঠীর ১৬টি ও ত্রিপুরাদের ১৯টি বসতঘর পুড়ে যায়। সামান্য কিছু মালামাল ও আসবাবপত্র রক্ষা করতে পারলেও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ঘরবাড়ি। ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় শেষ সম্বল হারানো মানুষেরা।
খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জাকের হোসেন বলেন, প্রত্যেকটা রিসোর্ট দোকান, ঘরবাড়িতে অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম থাকে। এখানে এমন কিছু ছিল না। এ কারণে শুরুতে নির্বাপণ করা যায়নি। তাতে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। তবে আগুন কীভাবে লেগেছে সে ব্যাপারে এখনও পরিষ্কার জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে।
এদিকে সাজেক ভ্যালিতে আগুনের ঘটনায় খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটের সঙ্গে খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটও কাজ করছে। সাময়িকভাবে সাজেক ভ্যালিতে পর্যটকদের যাতায়াত বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে রাঙামাটি প্রশাসন। তবে বিকেলে সাজেকের আগুন নিয়ন্ত্রণে বিমানবাহিনীর ২টি হেলিকপ্টার আসার কথা থাকলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসা ও সন্ধ্যা নেমে আসায় পরে আর হেলিকপ্টার আনা হয়নি জানিয়েছে রাঙামাটির প্রশাসন।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক হাবিব উল্লাহ বলেন, ওই এলাকায় আপাতত পর্যটক যেতে মানা করা হয়েছে। প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি তালিকা তৈরি করে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা হবে।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।