সাইয়ারা দেখে কেন ট্রমায় দর্শক ?
সাবিকুন নাহার সাদিয়া | প্রকাশিত: ২ আগষ্ট ২০২৫, ১৭:৫৪

'সাইয়ারা' সিনেমা সুপারহিট করানোর চেয়ে অরিজিনাল মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি বোধহয় ইতিহাসে কেউ নেয়নি। ভাবুন তো, আপনি সিনেমা হলে ঢুকলেন একটা প্রেমের ছবি দেখতে, আর বের হচ্ছেন অ্যাম্বুলেন্সে করে! ‘সাইয়ারা’ এখন আর শুধু সিনেমা নয়, এটা একপ্রকার চিত্রনাট্য-ভিত্তিক মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি প্ল্যান।
সিনেমা হলে ঢুকলেই নাকি কেউ কাঁদে, কেউ মূর্ছা যায়, আবার কারো শ্বাস বন্ধ হয়ে হার্ট এটাক হয়। এতদিন ভেবেছিলাম এসব হতো অতি আবেগ, তবে এখন দেখছি আহন পাণ্ডে আর অনীত পদ্দারে চোখে তাকালেই পাহাড়ি ঝর্ণা বয়ে যায়।
পরিচালক মোহিত সুরি কি সিনেমার শেষ ১৫ মিনিটে হলের এসি-তে কোনো রহস্যময় গ্যাস ছাড়ছেন? নাকি টিকিটের সঙ্গে পক্কন ফ্রি দিচ্ছেন যার ফলে দেখা যাচ্ছে "হৃদয়বিদারক ধাক্কা"?
ভোপাল থেকে দিল্লি— সর্বত্র একটিই দৃশ্য: দর্শকের চোখে জল, কেউ বেহুঁশ, কেউ আর একবার ‘আশিকি’র খোঁজে হারিয়ে যাচ্ছে প্রেমের অতলে। একটুখানি গান বাজলেই লোকজন কাঁদতে কাঁদতে চোখে আইসপ্যাক চায়। এত আবেগে যদি চাকরি-পড়াশোনা করত, তবে ভারতীয় স্পেস প্রোগ্রাম এতদিনে মঙ্গলেও প্রেমের চিঠি পাঠিয়ে দিত।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার— এই ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে এসে এক মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বলে ফেলেছেন, “এই সিনেমা ট্রিগার করে দিচ্ছে অমীমাংসিত ট্রমা!” বাহ! তাহলে তো পরবর্তী রিলিজের সঙ্গে একটা সাইকিয়াট্রিস্টও ফ্রি দিতে হয়!
যাই হোক, ‘সাইয়ারা’ নিয়ে এখনকার ট্রেন্ড হলো, কাঁদো না কাঁদলে পিছিয়ে যাবে। এই সিনেমা দেখে অজ্ঞান না হলে আপনি জেন জি নন, আপনি জাস্ট “ওল্ড জেনারেশন”! অতএব, প্রেমে পড়ুন, কাঁদুন, মূর্ছা যান, আর একবার হলে গিয়ে নিশ্চিত হোন আপনি কি আদৌ আবেগপ্রবণ? নাকি আপনার হৃদয় এখনো “ইন্টারভ্যালে” আটকে আছে?
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।