হাসিনার বাংলাদেশে ঢোকার খবর, বিশেষ বার্তা পুলিশ সদর দপ্তরের
রাজনীতি ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৫০
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
আগামী ১৩ নভেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার রায় ঘোষণার তারিখ জানাবে ট্রাইব্যুনাল। এ রায়কে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য নাশকতা বা বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সব জেলার এসপিদের কাছে বিশেষ বার্তা পাঠানো হয়েছে।
রায়ের তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে যেন কোনো ধরনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে, সেজন্য পুলিশ টহল, মোবাইল ও পিকেট টিম সক্রিয় করা হয়েছে। ঝটিকা মিছিল বা অনাকাঙ্ক্ষিত সমাবেশ ঠেকাতে মাঠপর্যায়ে পুলিশকে কঠোর নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহ ধরে টিকটকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশ-বিদেশ থেকে ছোট ছোট ভিডিও বানিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে ও হামলার নির্দেশ দিচ্ছে। এমন ভিডিও পোস্টকারীদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
এছাড়া বিদেশে অবস্থানরত দলের নেতাদের মধ্যেও অনেকে—যেমন বাহাউদ্দিন নাছিম, জাহাঙ্গীর কবীর নানক ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেল—ফেসবুকে প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে পুলিশের অভিযোগ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৩ নভেম্বর ঘিরে ঢাকায় প্রবেশপথগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যানবাহন ও সন্দেহভাজনদের দেহ তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ধর্মীয় উপাসনালয় ও প্রতিষ্ঠানে বাড়তি নিরাপত্তা বলবৎ করা হয়েছে।
র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীকে ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
নোয়াখালীর এসপি আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, “রায়ের তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে টহল টিমকে সক্রিয় করা হয়েছে, গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।”
রাজশাহী রেঞ্জের এক এসপি জানান, “আওয়ামী লীগের কিছু জামিনপ্রাপ্ত নেতাকর্মী আবার অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে—এমন তথ্য আমাদের কাছে আছে। তাদের তালিকা করা হয়েছে।”
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।