নিরাপত্তার ছাতা নিশ্চিত,শীঘ্রই কি ঢাকায় আসছেন তারেক রহমান?

নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩:১৯

সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র নেতারা ইঙ্গিত দিচ্ছেন যে, দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসনের পর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারেন – যা দেশের নির্বাচনী প্রেক্ষাপটকে নতুনভাবে গঠন করতে পারে।

দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানায়, সোমবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির এক বৈঠকে বিষয়টি আলোচনা করা হয়। এক সদস্য, সালাহউদ্দিন আহমেদ, পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, তারেক রহমান “খুব শীঘ্রই” দেশে ফিরবেন, যা দলের ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ নিয়ে জোর আলোচনা তীব্র করেছে।

গনমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলা আরও কয়েকজন অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, তাদের ধারণা অনুযায়ী, “কোনও বাধা আর অবশিষ্ট নেই” এবং নির্বাচন সময়সূচি ঘোষণার আগে তারেক ঢাকায় আসতে পারেন।

এই জল্পনা উত্থাপিত হলো ঠিক তখনই যখন সরকার বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ‘ভিভিআইপি (VVIP)’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন এবং তাকে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (SSF) সুরক্ষা প্রদান করা হয়েছে।

স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স আইন ২০২১-এর ধারা ২(ক) অনুযায়ী জারি করা গেজেট নোটিফিকেশনে উল্লেখ আছে, এই আদেশ তাৎক্ষণিক কার্যকর হবে। এটি বিরল একটি পদক্ষেপ, কারণ সাধারণত SSF সুরক্ষা শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বা বিদেশি অতিথিদের জন্য সংরক্ষিত থাকে – বিরোধী নেতাদের জন্য নয়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্তের প্রভাব শুধুমাত্র খালেদা জিয়ার উপর সীমাবদ্ধ নাও থাকতে পারে। তারেক রহমান বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী SSF সুরক্ষার যোগ্য নন। তবে খালেদা জিয়াকে SSF সুরক্ষা প্রদান করে, সরকার কার্যত একটি নিরাপত্তা ছাতা তৈরি করেছেন, যা তারেক দেশে ফিরলে তাকে আংশিকভাবে সুরক্ষা দিতে পারে।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, এটি তারেক রহমানের দীর্ঘদিনের প্রধান উদ্বেগ ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয় দূর করতে সাহায্য করতে পারে এবং এ কারণে তিনি এখন দেশে ফেরা নিয়ে ইতিবাচক ভাবছেন।

তারেক রহমান ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে বাস করছেন। নির্বাসনে থাকা অবস্থায় তিনি দূর থেকে বিএনপি পরিচালনা করেছেন, তবে তার দেশে প্রত্যাবর্তন রাজনৈতিক প্রভাব ও নেতিবাচক প্রভাব উভয়কেই বৃদ্ধি করতে পারে।

 

এনএফ৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top