বৃহঃস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২

বিচ্ছিন্ন ঘটনার পর জাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে ফল গণনা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:২৭

ছবি: সংগৃহীত

নানা বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ শেষ হয় বিকেল ৫টায়। এরপর শুরু হয়েছে গণনা কার্যক্রম।

এবারের নির্বাচনে ২১টি হলে মোট ২২৪টি বুথে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ১১ হাজার ৯১৯ শিক্ষার্থী ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত ছিলেন। এর মধ্যে ছাত্রদের হলে ভোটার সংখ্যা ৫,৯০৫ জন এবং ছাত্রীদের হলে ৬,০১৪ জন।

ছাত্রদের হলে: আল বেরুনী ২১০, আ ফ ম কামালউদ্দিন ৩৩৩, মীর মশাররফ হোসেন ৪৬৪, শহীদ সালাম-বরকত ২৯৮, মওলানা ভাসানী ৫১৪, ১০ নম্বর হল ৫২২, শহীদ রফিক-জব্বার ৬৫০, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৩৫০, ২১ নম্বর হল ৭৩৫, জাতীয় কবি নজরুল ৯৯২ এবং তাজউদ্দীন আহমদ হলে ৯৪৭ জন ভোটার।

ছাত্রীদের হলে: নওয়াব ফয়জুন্নেসা ২৭৯, জাহানারা ইমাম ৩৬৭, প্রীতিলতা ৩৯৬, বেগম খালেদা জিয়া ৪০৩, সুফিয়া কামাল ৪৫৬, ১৩ নম্বর হল ৫১৯, ১৫ নম্বর হল ৫৭১, রোকেয়া ৯৫৬, ফজিলাতুন্নেছা ৭৯৮ এবং তারামন বিবি হলে ৯৮৩ জন ভোটার।

এবারের জাকসু নির্বাচনে ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৭৮ জন প্রার্থী। বামপন্থি, ছাত্রশিবির, ছাত্রদল ও স্বতন্ত্রদের সমর্থিত মোট ৮টি প্যানেল নির্বাচনে অংশ নেয়।

তবে ভোটগ্রহণ চলাকালীন সময়ে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। বিকেল ৪টার কিছু আগে মওলানা ভাসানী হলের গেস্ট রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ছাত্রদল সমর্থিত জিএস প্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী।

তিনি অভিযোগ করেন, “তাজউদ্দীন হলের ভোটার তালিকায় ছবি না থাকায় দুই ঘণ্টা ভোট বন্ধ ছিল। ২১ নম্বর হল ও জাহানারা ইমাম হলে মব সৃষ্টি করা হয়। মেয়েদের হলে একই শিক্ষার্থী একাধিকবার ভোট দিয়েছেন, কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। কারচুপির দায়ে আমরা নির্বাচন বর্জন করতে বাধ্য হয়েছি।”

এখন চলছে ভোট গণনা, রাতেই প্রাথমিক ফল প্রকাশ হতে পারে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top