থানা হেফাজতে ঘুমন্ত পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতার সেলফি,ঘটনায় তোলপাড়
নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮:২৯
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তারের পরও থানা হেফাজতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকতে দেখা গেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ওই ব্যক্তি হলেন মো. শোয়াইব-উল ইসলাম মহিম (২১)। তিনি পটিয়া উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবুল বশরের ছেলে এবং ওই ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে পরিচিত।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ১টার দিকে পটিয়া পৌর সদরের কাগজীপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিজয় দিবস উপলক্ষে নিষিদ্ধ ঘোষিত যুবলীগের একটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের অভিযোগে তাকে আটক করা হয়।
তবে গ্রেপ্তারের পরও শোয়াইব-উল ইসলামের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সক্রিয় থাকতে দেখা যায়। থানা হেফাজতে থাকা অবস্থায় তিনি একাধিক পোস্ট দেন। একটি স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, “আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন। আমি পটিয়া থানায়। দেখা হবে আবারো, ফিরবো বীরের বেশে কোনো একদিন। জয় বাংলা।”
পরে থানার ভেতরে পুলিশ অফিস কক্ষে হাতকড়া পরা একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, “এইদিন দিন নয়, দিন আরও আছে।”
এছাড়া ডিউটিরত অবস্থায় ঘুমন্ত এক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে সেলফি তুলে তা ফেসবুকে পোস্ট করেন তিনি। ছবির ক্যাপশনে লেখেন, “ঘুম ভালোবাসিরেএএএ... জীবন যেমনই হোক বিনোদন মিস করা যাবে না।”
আরও একটি ছবিতে তাকে ছাত্রলীগ নেতা ও বন্ধু মহিমের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলতে দেখা যায়। ওই ছবির ক্যাপশনে বন্ধু মহিম লেখেন, “গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আপসহীন লড়াইয়ে দখলদার বাহিনীর হাতে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার হওয়া পটিয়া উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কর্মী মো. শোয়াইব-উল ইসলাম মহিমের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।”
এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে সামাজিক মাধ্যমে।
এ বিষয়ে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। গ্রেপ্তারের সময় কৌশলে ওই আসামি তার মোবাইল ফোনটি আন্ডার গার্মেন্টসের নিচে লুকিয়ে রাখে। পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে আমরা তার মোবাইল ফোন জব্দ করি।”
এনএফ৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।