ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধে ভ্যাকসিন আশা জাগাচ্ছে
লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১৫
ট্রিপল-নেগেটিভ ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধে ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে আশাব্যঞ্জক ফল পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে অনুষ্ঠিত সান অ্যান্টোনিও ব্রেস্ট ক্যানসার সিম্পোজিয়ামে এ সংক্রান্ত গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। সম্প্রতি এনবিসি নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গবেষণায় জানানো হয়, ভ্যাকসিনটি নিরাপদ এবং পরীক্ষায় অংশ নেওয়া রোগীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইমিউন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। এই ভ্যাকসিনটি বিশেষভাবে ল্যাক্টালবুমিন নামের একটি প্রোটিনকে লক্ষ্য করে তৈরি, যা প্রায় ৭০ শতাংশ ট্রিপল-নেগেটিভ স্তন ক্যানসারের টিউমারে পাওয়া যায়। ভ্যাকসিনের মাধ্যমে ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় করে টি-সেলের সাহায্যে ওই প্রোটিনযুক্ত ক্যানসার কোষ শনাক্ত ও ধ্বংস করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন গবেষকরা।
এনবিসি নিউজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ক্যারোলাইনার ৩৬ বছর বয়সী চেইস জনসন ২০২১ সালে আক্রমণাত্মক ট্রিপল-নেগেটিভ স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন। দীর্ঘ চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হলেও ক্যানসার পুনরাবৃত্তির উচ্চ ঝুঁকি থাকায় ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের ভ্যাকসিন ট্রায়ালে অংশ নেন। চিকিৎসকদের মতে, এই ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের প্রায় ৪০ শতাংশের ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের মধ্যে রোগটি পুনরায় ফিরে আসতে পারে।
প্রথম ধাপের ট্রায়ালে তিনটি গ্রুপে মোট ৩৫ জন নারীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। গবেষণার ফল অনুযায়ী, অংশগ্রহণকারীদের ৭৪ শতাংশের শরীরে ভ্যাকসিনটি ইমিউন প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। তবে এই প্রতিক্রিয়া ভবিষ্যতে ক্যানসার প্রতিরোধ বা পুনরাবৃত্তির ঝুঁকি কমাতে কতটা কার্যকর হবে, তা নির্ধারণে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
পরীক্ষাকালে কোনো গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। শুধু ইনজেকশনের স্থানে সামান্য লালচে ভাব বা গুটির মতো হালকা সমস্যা লক্ষ্য করা গেছে।
গবেষক ড. জি থমাস বাড জানান, আগামী বছর এই ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়াল শুরু হবে। সেখানে প্রথমবারের মতো যাচাই করা হবে, ভ্যাকসিনটি সত্যিই ক্যানসার পুনরাবৃত্তির ঝুঁকি কমাতে পারে কি না। তিনি আরও বলেন, এই ধাপ সফল হলে ভবিষ্যতে উচ্চ জেনেটিক ঝুঁকিতে থাকা নারীদের জন্য এটি প্রতিরোধমূলক ভ্যাকসিন হিসেবে ব্যবহারের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।
এনএফ৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।