ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন, অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত ড. ইউনূসের

Nasir Uddin | প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২৫, ২০:৪৮

ছবি: সংগৃহীত

যেকোনো পরিস্থিতিতে চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যা বর্তমান সরকার গৃহীত সংস্কার কার্যক্রম সামনে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে বলে তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (২৮ মে) অধ্যাপক ড. ইউনূসের সঙ্গে টোকিওর ইম্পেরিয়াল হোটেলে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ লিগের (জেবিপিএফএল) সভাপতি তারো আসো সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এসব তথ্য জানানো হয় ৷

চারদিনের সরকারি সফরে জাপানের স্থানীয় সময় বুধবার (২৮ মে) দুপুর ২টা ৫ মিনিটে টোকিওতে পৌঁছান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি নিক্কেই ফোরাম ফর এশিয়ায় অংশ নেয়া এবং জাপানের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করার জন্য এ সফরে রয়েছেন।

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু তারো আসো, যিনি জেবিপিএফএল-এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন, অধ্যাপক ইউনূসকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে অগ্রসর করার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং একটি মসৃণ গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অর্ন্তর্বতী সরকার তিনটি প্রধান বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে—সংস্কার, খুনিদের বিচার এবং সাধারণ নির্বাচন আয়োজন।

তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পুনর্গঠন এবং ঋণ পরিশোধে সরকার উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জন করেছে।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘পূর্ববর্তী সরকার আমাদের দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে, যার ফলে তরুণ সমাজের মধ্যে বিদ্রোহ সৃষ্টি হয়েছে। সেই তরুণরাই আমাকে এই বিশৃঙ্খলা দূর করার আমন্ত্রণ জানিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘গত ১০ মাসে জাপান আমাদের প্রয়োজনীয় সব ধরণের সহায়তা দিয়েছে। আমি জাপানকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। এক অর্থে, এটি একটি কৃতজ্ঞতা সফর।’

অধ্যাপক ইউনূস তারো আসোকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান, যাতে তিনি নিজের চোখে পরিবর্তনগুলো দেখতে পারেন।

সাক্ষাতের সময় তারো আসোর সঙ্গে থাকা কয়েকজন জাপানি সংসদ সদস্য বলেন, ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (ইপিএ) স্বাক্ষর বাংলাদেশে বৃহত্তর পরিসরে জাপানি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।

বাংলাদেশ আগামী আগস্টের মধ্যে আলোচনার কাজ শেষ করে সেপ্টেম্বর মাসে ইপিএ চুক্তি স্বাক্ষরের প্রত্যাশা করছে। এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে জাপান হবে বাংলাদেশে ইপিএ স্বাক্ষরকারী প্রথম দেশ।

প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিস্থিতি সম্পর্কে জাপানি সংসদ সদস্যদের অবহিত করেন এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এজেন্ডা বাস্তবায়নে তাদের সহায়তা কামনা করেন।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট অন্যান্য শরণার্থী সংকটের থেকে ভিন্ন, কারণ তারা অন্য কোনো দেশে যাওয়ার জন্য অনুনয় করছেন না, বরং নিজ দেশে ফেরার দাবি করছেন।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।

সূত্র: বাসস



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top