হাদিসহ কিলিং টার্গেটে আছেন যারা

নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬:২৭

সংগৃহীত

গতকাল শুক্রবার সন্ত্রাসীর গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদি। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যেখানে তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন জুলাই যোদ্ধার ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার আশঙ্কা সংক্রান্ত স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আগেই সরকারকে জানানো হয়েছিল। তবে অভিযোগ রয়েছে, ওই তথ্য পাওয়ার পরও যথাযথ কোনো নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

সূত্র অনুযায়ী, সম্ভাব্য টার্গেট কিলিংয়ের তালিকায় শরিফ ওসমান বিন হাদির পাশাপাশি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদসহ আরও কয়েকজন জুলাই সংগঠকের নাম ছিল।

জানা যায়, গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী এক আইনজীবীর মাধ্যমে প্রাপ্ত এসব তথ্য সময়মতো সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাসহ উচ্চপর্যায়ের সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়। এমনকি ওসমান হাদিসহ তিনজন জুলাই যোদ্ধা ব্যক্তিগতভাবেও হুমকির বিষয়টি সরকারের দায়িত্বশীল মহলের নজরে আনেন। পাশাপাশি ওই আইনজীবী নিজেও একাধিকবার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন।

সূত্র আরও জানায়, ওই আইনজীবী সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছে তার কাছে থাকা বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-উপাত্ত ও তথ্যপ্রাপ্তির নির্ভরযোগ্য সূত্র তুলে ধরেন। তিনি জানান, পেশাগত কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় তার কাছে এসব স্পর্শকাতর তথ্য আসে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বড় ধরনের বিপদের আশঙ্কাও তিনি প্রকাশ করেছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ শুক্রবার যুগান্তরকে বলেন, “অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে হামলার তথ্য পেয়ে আমরা সরকারকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।” তিনি আরও বলেন, “বর্তমান বাস্তবতায় শুধু ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাড়িয়ে তৃণমূল পর্যায়ে রাজনীতি করা সম্ভব নয়। উন্নত দেশগুলোতে যেভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে, আমাদের দেশে তা নেই।”

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা সরকারকে বারবার বলেছি—নির্বাচনের আগে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান চালাতে হবে। বিশেষ করে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন আদৌ সম্ভব নয়। শুধু লোক দেখানো অভিযান চালিয়ে কয়েকজন ছিঁচকে চোর ধরলে তা সবার জন্য আত্মঘাতী হবে।”

 

এনএফ৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top