আওয়ামী লীগ ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে যা বললেন অধ্যাপক ইউনূস
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২১ জুন ২০২৫, ১৭:৩৮

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাজ্য সফরের সময় বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশের রাজনীতি, সংস্কার, নির্বাচন ও রোহিঙ্গা সমস্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন।
যুক্তরাজ্য সফরে গত ১২ জুন তিনি ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড নিয়েছেন, এই পুরস্কার নিতে যাওয়ার আগে বিবিসির সাংবাদিক রাজিনি বৈদ্যনাথন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সাক্ষাৎকার নেন। ইংরেজিতে দেওয়া সাক্ষাৎকারটির কিছু অংশ বাংলায় অনুবাদ করে প্রকাশ করেছে বিবিসি বাংলা। প্রতিবেদনটি নিচে দেওয়া হলো।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়নি, তবে দলটির নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সিদ্ধান্ত নেবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্য সফরকালে বিবিসি ইংরেজিকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। শনিবার (২১ জুন) সাক্ষাৎকারটির গুরুত্বপূর্ণ অংশ প্রকাশ করেছে বিবিসি বাংলা। সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন সাংবাদিক রাজিনি বৈদ্যনাথন। সাংবাদিকের প্রশ্নে ড. ইউনূস বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়নি। তাদের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে, যার মধ্যে নির্বাচনও পড়ে। দলটি নির্বাচনে থাকবে কি না, সেটি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। এটা সম্পূর্ণ তাদের এখতিয়ার।
সাংবাদিক জানতে চান, শেখ হাসিনার দল নির্বাচনে না এলে নির্বাচন কি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক হবে? জবাবে ড. ইউনূস বলেন, সম্প্রতি ঢাকায় জাতিসংঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর খুব সুন্দরভাবে এটি ব্যাখ্যা করেছেন। অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থ কোনো নির্দিষ্ট দল নয়, বরং সব মানুষের অংশগ্রহণ।
মানুষ যদি ভোট দিতে পারে, তাহলে সেটাই অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন। মন্ত্রণালয় ও সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে পিছিয়ে পড়ছে দেশ: উপদেষ্টা সাখাওয়াত আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, জনগণ আওয়ামী লীগকে চায় কিনা, আগে তা দেখা উচিত। যদি তারা ভোট দিতে চায়, ভোটার হিসেবে তাদের ভোট দেয়ার স্বাধীনতা আছে।
সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টার কাছে জানতে চাওয়া হয় শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে কীভাবে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে? জবাবে ড. ইউনূস বলেন, বিচার শুরু হয়ে গেছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা চাই তিনি আইনি প্রক্রিয়ায় বিচারের মুখোমুখি হোন। তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য আন্তর্জাতিক পদ্ধতি অনুসরণ করব। যেভাবে অভিযুক্তদের ফিরিয়ে আনা হয়, সেভাবেই হবে। এটা সম্পূর্ণ আইনি প্রক্রিয়া। তাকে ধরে আনার কোনো ক্ষমতা তো আমাদের নেই।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।