ঢাকায় একযোগে ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগে আতঙ্ক, উচ্চ সতর্কতা জারি

নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১৩:০২

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার বিভিন্ন স্থানে গতকাল একযোগে ককটেল বিস্ফোরণ এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রাজধানী জুড়ে উদ্বেগ ও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সারাদিনে অন্তত ১১টি স্থানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে এবং তিনটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। বড় ধরনের হতাহতের খবর না পাওয়া গেলেও, শহরে নিরাপত্তা বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতোমধ্যেই ব্যাপক তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, ডিএমপি ও র‌্যাব যৌথভাবে অভিযান চালাচ্ছে এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি ক্ষুন্ন করার যে কোনও চেষ্টা কঠোরভাবে দমন করা হবে। পুলিশ আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর সব থানাকে টহল ও নজরদারি বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছে।

প্রথম বিস্ফোরণটি ভোররাতে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ঘটে। মিরপুর মডেল থানার ওসি জানিয়েছেন, দুই ব্যক্তি মোটরসাইকেল থেকে ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টার ও ইবনে সিনা হাসপাতালের দিকে আরও চারটি বিস্ফোরণের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।

সন্ধ্যায় মৌচাক, আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ বেতার, খিলগাঁও ফ্লাইওভার এবং মিরপুর শাহ আলী মার্কেট এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটে; রাত ১১টা ১০ মিনিটে বাংলামোটরে এনসিপি কার্যালয়ের সামনে শেষ বিস্ফোরণ ঘটে, এতে একজন সামান্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একটি অবিস্ফোরিত বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশি সূত্রে জানা গেছে, আগের দিন কাকরাইলের সেন্ট মেরি’স ক্যাথেড্রাল ও মোহাম্মদপুরের সেন্ট জোসেফ স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকদের বাসভবনের সামনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ভোরে শাহজাদপুর ও মেরুলবাড্ডায় দুটি বাসে আগুন দেওয়া হয় এবং ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে আরও একটি বাসে আগুন লাগে।

ডিবি প্রধান শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, হামলার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য নজরদারি ও গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান। সোমবার পৃথক অভিযানে আড়াই ডজনের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এদের মধ্যে ২৮ বছর বয়সী এক ছাত্রলীগ সদস্যও রয়েছেন।

সরকার দেশকে অস্থিতিশীল করার প্রতিটি প্রচেষ্টা প্রতিহত করার বার্তা দিয়েছে এবং ঢাকার গির্জা, মন্দির, মসজিদসহ সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তা সভায় সর্বত্র টহল, অতিরিক্ত আলোকসজ্জা, সিসিটিভি নজরদারি ও জরুরি প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ঢাকায় এই ঘটনা এমন সময়ে ঘটেছে যখন রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও বিএনপি–আলোচিত একটি সংগঠন ১৩ নভেম্বর ‘ঢাকা লকডাউন’ ঘোষণা করেছে, যার প্রেক্ষিতে রাজধানীতে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি রয়েছে।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top