রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ঝগড়া-বিবাদ এড়িয়ে চলা মুমিনের বৈশিষ্ট্য!

রাশেদ রাসেল | প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫১

ছবি: সংগৃহীত

রমজান মাস চলছে, এটি মুসলমানদের জন্য আত্ম-সংযমের মাস।

তাই এ মাসে ঝগড়া এড়িয়ে চলাও গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। অহেতুক ঝগড়া করা মুমিনের বৈশিষ্ট্য নয়। বরং মুমিনের জন্য ঝগড়াকে এড়িয়ে চলা আবশ্যক।

কারণ মহানবী (সা.) তাঁর উম্মতদের ঝগড়া থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

তা ছাড়া ঝগড়াঝাঁটি মানুষকে হিদায়াতের পথ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। মানুষের ঈমান ও চরিত্রকে কলুষিত করে দেয়। আবু উমামাহ (সাদি বিন আজলান) (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমার পরে হিদায়াতপ্রাপ্ত লোক তখনই পথভ্রষ্ট হবে, যখন তারা ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হবে।

অতঃপর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করেন (অনুবাদ) : ‘বরং এরা তো এক বিতর্ককারী সম্প্রদায় (সুরা : যুখরুফ, আয়াত : ৫৮)। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪৮)

তাই আমাদের উচিত ঝগড়া থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখা। এমনকি যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত বিষয়ে ঝগড়া করার ব্যাপারেও ইসলামে অনুৎসাহী করা হয়েছে। মহানবী (সা.) ঝগড়া এড়িয়ে চলা মানুষদের জন্য জান্নাতে বিশেষ উপহারের ঘোষণা দিয়েছেন।

আবু উমামাহ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ন্যায়সংগত হওয়া সত্ত্বেও ঝগড়া পরিহার করবে আমি তার জন্য জান্নাতের বেষ্টনীর মধ্যে একটি ঘরের জিম্মাদার; আর যে ব্যক্তি তামাশার ছলেও মিথ্যা বলে না, আমি তার জন্য জান্নাতের মাঝখানে একটি ঘরের জিম্মাদার আর যে ব্যক্তি তার চরিত্রকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করেছে, আমি তার জন্য জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে অবস্থিত একটি ঘরের জিম্মাদার। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮০০)



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top