বিতর্কিত পেনাল্টির দিনে মাদ্রিদ ডার্বির ড্র, জমল লা লিগার রেস
বার্তা বিভাগ | প্রকাশিত: ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:০৩
![বিতর্কিত পেনাল্টির](https://www.newsflash71.com/pmanager/jude-20250209083151-20250209110239.jpg)
লা লিগার উত্তেজনায় ঠাসা মাদ্রিদ ডার্বির আগে আলোচনায় ছিল রেফারিং। লা লিগায় আগের ম্যাচে এস্পানিওলের কাছে হারের পর রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তাদের এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিদ্রুপের মন্তব্য করেছিলেন লা লিগার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের তেবাস। যা নিয়ে রিয়াল পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানায়। এরপর অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদও রেফারিদের পক্ষ নিয়ে পাল্টা বিবৃতি দেয়। সবমিলিয়ে ছিল জটিল এক পরিস্থিতি।
মাঠের বাইরের সেই আলোচনার প্রভাব দেখা গেল মাঠের খেলাতেও। ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছেন রেফারি। তাতে লিড পেয়েছিল অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। পরবর্তীতে রিয়াল ম্যাচে ফেরে কিলিয়ান এমবাপের গোলের সুবাদে। ১-১ গোলের ড্রয়ে শেষ হয় মাদ্রিদ ডার্বি।
মাদ্রিদের শহরের দুই দলের ম্যাচ। একদিকে রিয়াল মাদ্রিদ অন্যদিকে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। কিন্তু ম্যাচ থেকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেয়েছে মাদ্রিদ শহরের প্রতিপক্ষ বার্সেলোনা। লা লিগার শিরোপার দৌড়ে রিয়াল এবং অ্যাতলেটিকোর চেয়ে খানিকটা পিছিয়েই গিয়েছিল তারা। কিন্তু গতকালের ড্র তাদের সুযোগ করে দিলো পয়েন্ট টেবিলে ফিরে আসার।
ঘরের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদ ছিল ফর্মের চূড়ায়। নিজেদের সবশেষ ২১ ম্যাচের মধ্যে ১৯ ম্যাচেই জয় ছিল তাদের। তবে প্রতিপক্ষ অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ সুপরিচিত নিজেদের লো-ব্লক ডিফেন্সের জন্য। জমাট সেই রক্ষণের দেয়াল ভাঙা ঠিক কতখানি কঠিন তা আবার রিয়াল মাদ্রিদ টের পেয়েছে এই ম্যাচে। রবিন লা নরমান্দকে এই ম্যাচে পায়নি অ্যাতলেটিকো। সেটার সুযোগ নিতে পারেনি বল দখলে এগিয়ে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ।
তবে রিয়াল মাদ্রিদও যে ভোগেনি তা নয়। উইঙ্গার লিনো ও ফরোয়ার্ড আলভারেজ বাঁ দিক দিয়ে বেশ কয়েকবার রিয়ালের রক্ষণভাগের পরীক্ষা নেন। ইনজুরির কারণে রিয়ালের নিয়মিত চার ডিফেন্ডারের কেউই ছিলেন না। সেটার সুযোগ অ্যাতলেটিকোও যে খুব করে নিতে পেরেছে তেমন না।
৩১ মিনিটে ঘটে ম্যাচের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনাটি। ডি-বক্সের বাঁ দিক থেকে আসা ক্রসে নিয়ন্ত্রণ নিতে পা বাড়িয়েছিলেন অ্যাতলেটিকোর সামুয়েল লিনো, একই সময়ে পা বাড়ান রিয়ালের চুয়ামনিও। তার পা গিয়ে পড়ে লিনোর পায়ের ওপর। কিন্তু তার আগেই বল দুজনের মাঝ দিয়ে বেরিয়ে যায়। অ্যাতলেটিকোর পেনাল্টি আবেদন শুরুতে ফিরিয়ে দিলেও শেষ পর্যন্ত ভিএআর দেখে ঠিকই স্পটকিকের বাঁশি বাজান রেফারি।
স্পটকিক থেকে বল জালে জড়ান হুলিয়ান আলভারেজ। অ্যাতলেটিকো পায় লিড। লিনো ও আলভারেজ দারুণ কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করায় এই অর্ধে পরে আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি সফরকারীরা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই দারুণ আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র এবং রদ্রিগো দুজনেই উইং থেকে চালিয়েছেন আক্রমণ। তারই সুবাদে পঞ্চম মিনিটে সমতায় ফেরে রিয়াল। ডান উইং দিয়ে দুজনকে কাটিয়ে ক্রস দেন রদ্রিগো। জুড বেলিংহ্যাম ফার্স্ট টাচ শট করলে সেটা ফিরে আসে হিমেনেজের কারণে। আর ফিরতি শটে এমবাপে বল পাঠান গোলে।
বাকি সময়টায় রিয়ালকে বারবার হতাশ করেছেন ইয়ান ওবলাক। ভিনিসিয়ুস, রদ্রিগো, এমবাপে ও বেলিংহ্যামকে ঠেকিয়ে হতাশ করেন অ্যাতলেটিকোর গোলরক্ষক। তারই সুবাদে ড্র হয় মাদ্রিদ ডার্বি।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।