সেমিতে সাকিবের মন্ট্রিয়াল রয়েল টাইগার্স
ওলিউল্লাহ তুহিন | প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:১৩

কানাডা প্রিমিয়ার লিগের সুপার সিক্স পর্বে টিকে থাকতে হলে জয় ছিল বাধ্যতামূলক। সেই চ্যালেঞ্জে সফল মন্ট্রিয়াল রয়েল টাইগার্স। ব্র্যাম্পটন ব্লিটজকে ৪৩ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন দলটি।
ভ্যাঙ্কুভারে অনুষ্ঠিত এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় মন্ট্রিয়াল। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকে দলটি। ওপেনার জশ ব্রাউন ও দিলপ্রিত বাজওয়া মাত্র ২২ বলে যোগ করেন ৬১ রান—যা দলকে দেয় দুর্দান্ত সূচনা। ব্রাউন ১৯ রানে ফিরে গেলেও বাজওয়া খেলেন দায়িত্বশীল ইনিংস।
তিন নম্বরে নামা অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও ছিলেন ইতিবাচক মেজাজে। ক্রিস গ্রিভসকে পরপর দুটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে শুরু করলেও বেশিদূর যেতে পারেননি। ৭ বলে ১১ রান করে গ্রিভসের বলেই ক্যাচ তুলে দিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
মাঝের সারিতে রায়ান হিগিনস ও টম মুরস ব্যর্থ হলেও শেষদিকে ঝড় তোলেন শ্রেয়াস মোভভা। তাঁর ১২ বলে ২২ রানের অপরাজিত ইনিংসে মন্ট্রিয়াল রয়েল টাইগার্স নির্ধারিত ২০ ওভারে তোলে ১৩০ রান ৭ উইকেটে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় ব্র্যাম্পটন ব্লিটজ। মন্ট্রিয়ালের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে একে একে ফিরতে থাকেন মার্টিন গাপটিল, উইল স্মিথ ও জেমস ভিন্সের মতো ব্যাটাররা। সর্বোচ্চ ২৩ রান আসে অধিনায়ক ডেভিড ভিসার ব্যাট থেকে।
বল হাতে ব্র্যাড কারি, অ্যান্ড্রু টাই ও ইসুরু উদানা তুলে নেন গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। বিশেষ করে কারির নিখুঁত লাইন ও লেংথ ব্র্যাম্পটনের টপ অর্ডারকে ভুগিয়েছে সবচেয়ে বেশি। উল্লেখযোগ্যভাবে, ম্যাচে বল হাতে নামেননি সাকিব, তবে মাঠে তাঁর কৌশলী নেতৃত্বেই পরিকল্পনামাফিক আক্রমণ চালিয়ে যান বোলাররা।
শেষ পর্যন্ত ৪৩ রানের বড় জয়ে মাঠ ছাড়ে মন্ট্রিয়াল রয়েল টাইগার্স। ব্যাটিংয়ে শুরুর আগ্রাসন, বোলারদের নিয়ন্ত্রণ ও অধিনায়কের বিচক্ষণ পরিকল্পনা—সব মিলিয়ে ম্যাচটি ছিল মন্ট্রিয়ালের জন্য এক নিখুঁত দলীয় পারফরম্যান্সের উদাহরণ।
আগামীকাল সেমিফাইনালে মাঠে নামবে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন দলটি। ফর্ম ও আত্মবিশ্বাস যেভাবে তাদের সঙ্গে আছে, তাতে শিরোপার দৌড়ে মন্ট্রিয়াল রয়েল টাইগার্স যে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।