টাইটানিক জাহাজ ঘিরে অবশেষে ২৬ বছরের রহস্যের সমাধান

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২ নভেম্বর ২০২২, ০৭:০৮

টাইটানিক জাহাজ

বিখ্যাত টাইটানিক জাহাজ ডুবে যাওয়ার পর কেটে গেছে ১০০ বছরেরও বেশি সময়। ১৯১২ সালে আটলান্টিক মহাসাগরে একটি হিমশৈলের সাথে ধাক্কা লেগে ডুবে যায় বিশাল এই জাহাজটি। প্রাণ যায় প্রায় ১৫০০ যাত্রী ও ক্রুর। 

এতো বছর পরও টাইটানিক নিয়ে মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। সেই কৌতুহলের টানেই এবার সমুদ্রের গভীরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের তুলনামূলক স্পষ্ট ছবি ও ভিডিও ধারণ করেছে ওশান গেট নামের একটি বেসরকারি সংস্থা।

নতুনভাবে সামনে আসা টাইটানিকের এসব ভিডিও ৮ কে রেজ্যুলেশনের। ফলে আগের চেয়ে জাহাজের ধ্বংসাবশেষের অনেক বেশি বিস্তারিত ও স্পষ্ট দৃশ্য দেখা গেছে, যা এর আগে তোলা ভিডিওর চেয়ে অনেক উন্নত।

সংস্থাটির দাবি, অত্যাধুনিক ক্যামেরার সাহায্যে তোলা এসব ভিডিওর মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা টাইটানিকের আরও অনেক নতুন তথ্য সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য পাবেন। এই অভিযানের ভিডিওটি ‘ওশানগেট এক্সপেডিশন’ নামের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হয়েছে।

টাইটানিক বিশেষজ্ঞ রয় গোল্ডেন বলেন, আমি এর আগে টাইটানিকের এতো স্পষ্ট ভিডিও দেখিনি।

এদিকে, টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ যেখানে উন্মোচিত হয়েছিল সেখান থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরে একটি "ঘন" এবং সমৃদ্ধ বাস্তুতন্ত্র খুঁজে পেয়েছেন ডুবুরিরা।

ডুবোজাহাজের অভিজ্ঞ পাইলট নারজিওলেট যা দেখেছেন তা জাহাজের ধ্বংসাবশেষ  কিনা তা ভেবে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছিলেন। ২৫ অক্টোবর, তার অমীমাংসিত রহস্যের উত্তর পান।

নারজিওলেট সাঁতার কেটে লক্ষ্যে পৌঁছেছিলেন এবং আবিষ্কার করেছিলেন যে বস্তুটি আসলে আগ্নেয়গিরির প্রাচীর।

ওশানগেট এলাকার ফুটেজ প্রকাশ করেছে, যেখানে রিফের স্পঞ্জ, প্রবাল এবং এর চারপাশে সামুদ্রিক জীবন দেখানো হয়েছে।

টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের এলাকা থেকে  ঘটনাস্থলটি ২৯০০ মিটারের মধ্যে অবস্থিত। এখানে  অসাধারণ জীববৈচিত্র্য সমন্বিত  একটি  প্রাচীর পেয়েছেন গবেষকরা।

জাহাজটি বর্তমানে সমুদ্রের তলদেশে অবস্থান করছে এবং কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড থেকে ৪০০ নটিক্যাল মাইল দূরে রয়েছে।

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top