ইসরায়েলি নিপীড়ন থেকে ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় দায়িত্ব তুরস্কের

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৬ নভেম্বর ২০২৩, ১৩:৫২

ছবি: সংগৃহীত

গাজাবাসীর নারকীয় যন্ত্রণা দেখেও পুরো বিশ্ব নিশ্চুপ। ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় তাই পাশে থাকবে তুরস্ক। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছেন, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় রক্তপাত বন্ধ করা তুরস্কের দায়িত্ব, যেটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চোখের সামনে ঘটছে। তবে গাজার ভাই ও বোনদের কখনও একা ফেলে দেবে না তুরস্ক।

রবিবার (৫ নভেম্বর) উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রিজে প্রদেশে একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে টিআরটি ওয়ার্ল্ড। এরদোগান বলেন, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় রক্তপাত বন্ধ করা তুরস্কের দায়িত্ব। যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চোখের সামনে ঘটছে।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, গাজায় অনৈতিক, নীতিহীন, ঘৃণ্য গণহত্যাকে যারা সমর্থন করছে তাদের অপরাধের বিরুদ্ধে কথা বলা আমাদের ঐতিহাসিক দায়িত্ব।

কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে টিআরটি ওয়ার্ল্ড বলেছে, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান রোববার পৃথক ফোন কলে কথা বলেছেন মিসরীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শৌকরি ও জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদির সঙ্গে। গাজার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন। এর আগে রোববার ইসরাইল জানিয়েছে, তেল আবিব ও আঙ্কারার কূটনৈতিক সম্পর্ক অটুট রয়েছে।

ইসরাইলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, গাজা যুদ্ধ নিয়ে আঙ্কারার অবস্থান ও তুর্কি রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহারের পরও তুরস্কের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক অটুট রয়েছে। শনিবার তেল আবিব থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করেছিল তুরস্ক। গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর অবিরাম বোমাবর্ষণের প্রতিবাদে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়।

এদিকে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, যে খুনিরা পুরো ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডজুড়ে শিশু, মা এবং নিরীহ মানুষের জীবন কেড়ে নিচ্ছে, সেইসাথে নিপীড়িতদের সম্পত্তি লুণ্ঠন করছে, সেইসব চোরদের খুঁজে বের করা আমাদের মানবিক দায়িত্ব।

তিনি আরও বলেন, এছাড়াও এই অনৈতিক, হৃদয়হীন এবং ঘৃণ্য গণহত্যার মতো অপরাধের সমর্থনকারীদের যেখানেই আমরা মুখোমুখি হবো সেখানেই তাদের অপরাধগুলোকে চিহ্নিত করে দেওয়াও আমাদের ঐতিহাসিক দায়িত্ব।

তুরস্কের এই প্রেসিডেন্ট বলেন, জেরুজালেমের হারাম আল-শরিফের - যার মধ্যে আমাদের প্রথম কিবলা আল-আকসা মসজিদও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে - পবিত্রতা রক্ষা করা আমাদের আধ্যাত্মিক বাধ্যবাধকতা। তবে সেটি এমনভাবে করতে হবে যাতে অন্যান্য ধর্মের সদস্যদের অধিকারকে সম্মান করা হয়।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top