আর্জেন্টিনায় অর্থনৈতিক সংস্কার প্রতিবাদে ব্যাপক সংঘর্ষ

সুজন হাসান | প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০২৪, ১৩:৩৮

ছবি: সংগৃহীত

আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ার মিলেইর প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশটি। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে হয়েছে ব্যাপক সংঘর্ষ। স্থানীয় সময় বুধবার (১২ জুন) রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সের রাজপথে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিক্ষোভ দমাতে বিক্ষোভকারীদের ওপর ছড়ানো হয়েছে কাঁদানে গ্যাস ও পিপার স্প্রে। ব্যবহার করা হয়েছে জলকামান।

আর্জেন্টিনার ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জাভিয়ার মিলেই এই সংস্কারের প্রস্তাব করেছেন। তিনি মূলত এরমাধ্যমে দেশটির ভঙ্গুর অর্থনীতিকে জাগ্রত করতে চাচ্ছেন। এই সংস্কারের মাধ্যমে আর্জেন্টিনায় অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা জারি করা হবে, সরকারি পেনসন ও শ্রম অধিকার কমিয়ে দেওয়া হবে।

প্রেসিডেন্ট মিলেই-র এই সংস্কার প্রস্তাবের বিরোধীতে করেছে দেশটির বিরোধীদল, শ্রম সংগঠন এবং সামাজিক সংস্থাগুলো।

বাজেট কমানোর এই সংস্কারটি আর্জেন্টিনার সিনেটে ৩৬-৩৬ ভোটে আটকে ছিল। কিন্তু ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিক্টোরিয়া ভিয়ারুয়েল তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করে প্রস্তাবটির অনুমোদন করান।

তিনি ভোট দেওয়ার আগে বলেন, “যেসব আর্জেন্টাইন সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, যারা অপেক্ষা করছেন এবং যারা চান না তাদের সন্তানরা দেশ ছেড়ে চলে যাক… তাদের জন্য আমার ভোট হলো হ্যাঁ।”

৩২৮ ধারার এই সংস্কার প্রস্তাবটি এখন লাইন বাই লাইন পর্যালোচনা করা হবে। এরপর বৃহস্পতিবার এটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে। এই ধাপ শেষে প্রস্তাবটি সংসদের নিম্নকক্ষে যাবে এবং সেখানে আইনে পরিণত হবে।

গত এপ্রিলে প্রথমে প্রস্তাবটি সংসদের নিম্নকক্ষে পাস হয়। তবে এর আগে এটিতে অনেক পরিবর্তন আনা হয়।

২০২৩ সালে প্রেসিডেন্ট হওয়া মিলেই ক্ষমতা নিয়েই বলেছিলেন সরকারি ব্যয়ের ওপর করাত চালাবেন তিনি। আর করাত চালানোর অংশ হিসেবেই তিনি এমন উদ্যোগ নিয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট হাভিয়ার মিলেইর প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক সংস্কারে রয়েছে– এক বছরের জন্য দেশটিতে অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে প্রেসিডেন্ট মিলেইকে ক্ষমতা দেয়া, রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ সংস্থাসহ কয়েক ডজন সরকারি প্রতিষ্ঠানকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়া।

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top