সিরিয়ায় পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা, নিহত ১৪
Nasir Uddin | প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:৪৪
সিরিয়ায় ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত সমর্থকদের অতর্কিত হামলায় দেশটির ১৪ পুলিশ নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবারের ভোরে সিরিয়ার নতুন প্রশাসন, এই ঘটনাকে ব্যাপক অস্থিরতা হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। সিরিয়ার নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টেলিগ্রামে বলেছেন, হামলায় আরো ১০ জন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে দেশটির নতুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, সিরিয়ার টারটাওস এলাকায় আসাদ সরকারের অবশিষ্টাংশদের হামলায় ১০ জন পুলিশ সদস্য আহতও হয়েছেন। দেশের নিরাপত্তা বা নাগরিকদের জীবনের হুমকির কারণ হলে কাউকে ছাড়া দেওয়া হবে না বলেও অঙ্গীকার করেছে মন্ত্রণালয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হোমস শহরে গভীররাতে কারফিউ জারি করেছিল পুলিশ। সংখ্যালঘু আলাওয়াইট ও শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যদের বিক্ষোভ মিছিলেন কারণে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের দাবিদাওয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেনি রয়টার্স।
স্থানীয়দের মধ্যে কয়েকজন জানিয়েছেন, আলাওয়াইট সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রতিক নির্যাতন ও প্রশাসনিক চাপের প্রতিক্রিয়ায় এই বিক্ষোভের আয়োজন হয়ে থাকতে পারে। কারণ এই গোষ্ঠীটি আসাদ সরকারের অনুগত ছিল। বাশার আল-আসাদের পরিবারও এই সম্প্রদায়ের সদস্য ছিলেন।
কারফিউ জারির বিষয়ে বক্তব্য জানতে আলকায়েদার সাবেক সহযোগী সংগঠন ও আসাদ সরকারকে উৎখাত করা বিদ্রোহী দল হায়াত তাহরির আল-শামসের (এইচটিএস) সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল রয়টার্স। তবে অন্যপাশ থেকে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে পরদিন সকাল আটটা পর্যন্ত কেবল কারফিউ জারি রাখা হয়।
দেশের সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের আশঙ্কা, বিদ্রোহীদের অধীনে দেশে কট্টরপন্থি ইসলামি সরকার গঠিত হতে পারে। তবে তাদের ভয়ের কোনও কারণ নেই বলে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে নতুন সরকার। সংখ্যালঘুদের রক্ষার জন্য তারা একাধিকবার প্রকাশ্যে অঙ্গীকার করেছে।
বিষয়: সিরিয়া পুলিশের ওপর হামলা
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।