শান্তি এলে প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়তেও রাজি আছি: জেলেনস্কি
Nasir Uddin | প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:১০

ইউক্রেনে শান্তি ফিরলে তিনি প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়তেও রাজি আছেন বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এমনকি তিনি বলেছেন, তার পদত্যাগের বিনিময়ে ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদান নিশ্চিত করা যায় কিনা, তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
জেলেনস্কি বলেন, ‘যদি শান্তি আনতে আমার পদ ছেড়ে দিতে হয়, আমি প্রস্তুত। আমি আমার প্রেসিডেন্ট পদকে ন্যাটো সদস্যপদের জন্য বিনিময় করতে পারি, যদি এমন শর্ত থাকে’।
এ মন্তব্য করার কয়েকদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেলেনস্কিকে ‘নির্বাচনবিহীন স্বৈরাচার’ বলে সমালোচনা করেছিলেন। এর প্রতিক্রিয়ায় জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি কটাক্ষ বুঝেছি, তবে এতে আমি আহত হইনি। একজন স্বৈরাচার হলে তিনি আহত হতেন।’
বাইডেন ও ট্রাম্প প্রশাসন উভয়ের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, তিনি ট্রাম্পের কাছ থেকে ইউক্রেনকে সাহায্য করার জন্য সমঝোতা ও নিরাপত্তা নিশ্চয়তা চান। তিনি ট্রাম্পকে ইউক্রেনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং তিনি খুবই চান যে ট্রাম্প এখানে আসেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এখনও তা হয়নি। জেলেনস্কি বলেন, হয়তো তিনি আসবেন অথবা আমি ওয়াশিংটনে যাব এবং এটি খুবই উপকারী হবে।
যুদ্ধ শেষ করার আলোচনা প্রসঙ্গে জেলেনস্কি বলেন, ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়টি আলোচনার টেবিলে থাকবে। কিন্তু তিনি জানেন না এই আলোচনা কীভাবে শেষ হবে। তিনি বলেন, ইউক্রেনই ইউরোপীয় নেতাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছে, কারণ আমরা ইউরোপের অংশ। মার্কিন নেতারাও সেখানে থাকবেন, কারণ এই যুদ্ধে তারা আমাদের প্রধান সাহায্যকারী।
জেলেনস্কিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে তিনি কী ধরনের নিশ্চয়তা চান এবং শান্তির বিনিময়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পদ ‘ছাড়তে’ তিনি খুশি কিনা। তিনি জবাব দেন, ‘হ্যাঁ, আমি খুশি, যদি তা ইউক্রেনের শান্তির জন্য হয়। যদি আমার এই চেয়ার ছাড়ার প্রয়োজন হয়, আমি তা করতে প্রস্তুত এবং আমি ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদের বিনিময়েও তা করতে পারি।
জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি এখন ইউক্রেনের নিরাপত্তার দিকে মনোনিবেশ করেছেন, ২০ বছর পরের দিকে নয়। এক দশক ধরে প্রেসিডেন্ট থাকাটা তার স্বপ্ন নয়।
এক সাংবাদিক জেলেনস্কিকে আগামীকাল ইউক্রেনে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে ইউরোপীয় নেতাদের প্রত্যাশা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, কিছু দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে সমর্থন ও নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংসদীয় নেতাদের সঙ্গে একটি আলাদা বৈঠক হবে।
ইউক্রেনের সংবিধান অনুযায়ী, সামরিক আইন চলাকালীন দেশটিতে নির্বাচন স্থগিত থাকে। রাশিয়ার আক্রমণের পর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক আইন জারি করা হয়।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।