রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মাত্র দেড় ঘণ্টায় মিলবে করোনা পরীক্ষার ফল

ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:২৮

উদ্ভাবিত র‍্যাপিড কিট

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:

মাত্র ৯০ মিনিটে ল্যাবরেটরি ছাড়াই করোনাভাইরাস শনাক্তে সক্ষম এমন একটি র‍্যাপিড টেস্ট পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে যুক্তরাজ্যের গবেষকরা।

দেশটির ডিএনএনাজ কোম্পানির উদ্ভাবিত এ ‘ল্যাব-অন-এ-চিপ’ যন্ত্রে নাক বা গলা থেকে শ্লেষ্মা সংগ্রহে সক্ষম যে কোনো ব্যক্তিই করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষাটি করতে পারবেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যের ৮টি হাসপাতালে নতুন এই র‍্যাপিড কিট ব্যবহৃত হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, শ্লেষ্মা নেওয়ার পর সোয়াবটিকে একটি ডিসপোজেবল নীল কার্টিজের মধ্যে রাখতে হবে; ওই কার্টিজের ভেতরেই ভাইরাসের উপস্থিতি আছে কি নেই, তা নির্ণয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিকগুলো থাকবে।

ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের গবেষকরা জানান, র‍্যাপিড টেস্টের এই কিটের টেস্টের ফলাফলের সঙ্গে ল্যাবরেটরিতে করা পরীক্ষার ফলের ব্যাপক মিল পাওয়া গেছে।

লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের এক গবেষণায় ৩৮৬ জনের নমুনা নিয়ে একইসঙ্গে ডিএনএনাজের যন্ত্র ও প্রচলিত ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে এবং এ সংক্রান্ত  গবেষণা পরে ল্যানসেট মাইক্রোব জার্নালে প্রকাশিতও হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, যে যে ব্যক্তির নমুনায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নেই বলে ল্যাবরেটরির পরীক্ষা থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে, সেই ব্যক্তিদের নমুনায় নতুন র‌্যাপিড টেস্টও একই ফল দিয়েছে। পাশাপাশি যাদের শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে, তাদের নমুনায় ল্যাবরেটরির পরীক্ষার ফল আর র‌্যাপিড টেস্টের ফল ৯৪ শতাংশ ক্ষেত্রে মিল পাওয়া গেছে।

তবে নতুন এ যন্ত্রটির সীমাবদ্ধতাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন, অধ্যাপক কুক। তিনি জানান, যন্ত্রটি একইসঙ্গে একাধিক নমুনা পরীক্ষা করতে পারে না। দিনে এ ধরনের একটি যন্ত্র দিয়ে কোনোভাবেই ১৬টির বেশি নমুনা পরীক্ষা সম্ভব হবে না। শুধু দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেই যন্ত্রটি কার্যকর বলে জানান কুক।

এদিকে, যুক্তরাজ্য এরই মধ্যে ৫০০০টি নাজবক্স মেশিন ও ৫৮ লাখ ডিসপোজেবল কার্টিজ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

 

এনএফ৭১/এমকে/২০২০



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top