এবার যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ১২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্কারোপ চীনের

Nasir Uddin | প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:০৩

ফাইল ছবি

বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা এখন প্রায় পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যযুদ্ধে রূপ নিয়েছে। আমেরিকার পণ্যে ফের শুল্ক বাড়িয়েছে চীন। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দেশটি জানায়, আমেরিকা থেকে চীনে রপ্তানি করা পণ্যে ১২৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। আগামীকাল শনিবার (১২ এপ্রিল) থেকে এই শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

সব দেশের ওপর পালটা শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করলেও গত বুধবার চীনের পণ্যে উলটো শুল্ক বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা প্রায় সব চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর জবাবেই চীন আবারো পাল্টা শুল্ক বাড়ায়।

এর আগে গত ২ এপ্রিল বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই ঘোষণাপত্রে দেখা যায়, চীনা পণ্যের ওপর তিনি ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। আগের ২০ শতাংশ মিলিয়ে হয় ৫৪ শতাংশ। ট্রাম্পের এই অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণায় ক্ষুব্ধ হয়ে চীন সরকার মার্কিন পণ্যের ওপরেও পাল্টা ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে।

চীনের এই পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি হুঁশিয়ারী দেন, চীন যদি অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা প্রত্যাহার না করে, তাহলে চীনা পণ্যের ওপর আরও অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।’ অর্থাৎ চীনা পণ্যের ওপর সর্বমোট ১০৪ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে।

কিন্তু ট্রাম্পের হুমকি আমলে নেয়নি চীন এবং শুল্ক আরোপের ঘোষণা প্রত্যাহারও করেনি। ফলে মঙ্গলবারের পর বুধবার থেকে কার্যকর হয় চীনা পণ্যের ওপর আমেরিকার ১০৪ শতাংশ শুল্ক। আর এর জবাবে চীনও শুল্ক আরও ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে ৮৪ শতাংশ করে।

দু’দেশের এই শুল্ক সংঘাতের মধ্যেই ট্রাম্প বুধবার চীনে শুল্ক আরও বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করেন। অন্যান্য দেশগুলোতে ট্রাম্প উচ্চহারের শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করে আপাতত স্বস্তি দিলেও চীনের ক্ষেত্রে তা করেননি।

উপরন্তু হোয়াইট হাউজ বৃহস্পতিবার জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনা পণ্যের উপর মোট শুল্ক বেড়ে ১২৫ শতাংশ থেকে ১৪৫ শতাংশ হয়েছে।

এবার চীন মোট ১২৫ শতাংশ শুল্কারোপের ঘোষণা দিল। তবে এই শুল্ক-শুল্ক খেলায় আর সামনে এগিয়ে যেতে চাইছে না চীন।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top