ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ: তোলপাড় সীমান্ত, চীন- রাশিয়া কী বলছে
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৭ মে ২০২৫, ১৭:৪০

পাল্টাপাল্টি হামলায় এখন উত্তপ্ত ভারত-পাকিস্তান। প্রতিবেশি দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা আবারও চরমে। বুধবার (৭ মে) ভোরের ঘটনা। পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীর ও অন্যান্য জায়গায় ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। ইসলামাবাদের দাবি, মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানের অন্তত ৯টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। এতে অন্তত ২৬ জন নিহত ও ৪৬ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।
পাকিস্তান এ হামলাকে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল বলেছে। দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর দাবি, ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ও একটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। ভারতের আগ্রাসনের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানি বাহিনীর গুলি ও কামানের গোলায় ভারতে নিহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। পাকিস্তান অভিযোগ তুলেছে- বেসামরিক লোকজন ও মসজিদ লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে।
যদিও ভারত সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ভারত অবশ্য হামলাগুলোকে সন্ত্রাসবাদী অবকাঠামো ধ্বংসে প্রতিরোধমূলক অভিযান বলছে। হামলার পরপর ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করেছে। তারা জানিয়েছে, ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়েছে। ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত মাসে কাশ্মীরের বৈসারান উপত্যকায় হিন্দু তীর্থযাত্রীদের ওপর হামলার প্রতিক্রিয়ায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যেখানে প্রাণ হারান ২৬ জন।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বাড়তে থাকা সামরিক উত্তেজনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে রাশিয়া। বুধবার এক বিবৃতিতে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তথা বলেছে। তারা উভয় দেশকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে। রাশিয়া বলেছে, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভারত ও পাকিস্তান—দুই দেশের সঙ্গেই মস্কোর সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। বিবৃতিতে সন্ত্রাসবাদের সব ধরনের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানানো হয়েছে। রাশিয়া জানিয়েছে, উত্তেজনা নিরশনে মস্কো নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত।
প্রতিবেশী দুদেশের যুদ্ধের দামামা নিয়ে মুখ খুলেছে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি চীনও। দুদেশকেই সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে তারা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে দেশটি বলেছে, ভারত ও পাকিস্তান সবসময় একে অপরের প্রতিবেশী ছিল এবং থাকবে। তারা উভয়ই চীনের প্রতিবেশী। চীন সকল ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতা করে। আমরা উভয়পক্ষকে শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। একইসঙ্গে শান্ত এবং সংযম দেখানোর আহ্বান জানাচ্ছি। পরিস্থিতি যেন আরও জটিল না হয় এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে দুপক্ষকেই বিরত থাকতে বলেছি।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।