ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির আলোচনা, বৈঠকে কী কী থাকছে?
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২ মে ২০২৫, ১৭:১১

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলছে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ। যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধ করার উপায় নিয়ে নানা আয়োজন| সোমবার (১২ মে) দেশ দুটির মধ্যে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। যদিও শনিবার এনিয়ে আলোচনা হয়েছে। এটি দেশ দুটির সামরিক বাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশন্স (ডিজিএমও) পর্যায়ের আলোচনা। এর আগে রোববার ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে একটি হটলাইন বার্তা পাকিস্তানি সেনার উদ্দেশে পাঠানো হয়।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ সঞ্জীব শ্রীবাস্তব ইকোনমিক টাইমসকে বলেন, এই বৈঠকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছে, কীভাবে এটি চলমান রাখা যায় এবং এটি স্থায়ী করার উপায় আলোচনা হবে। দেখা যাক বৈঠকের ফলাফল কী হয়।
সূত্র বলছে, শনিবারের ডিজিএম পর্যায়ের আলোচনায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া আর কোনো বিষয় উঠে আসেনি। শুধুমাত্র দুই দেশ সীমান্তে হামলা বা পাল্টা হামলা বন্ধ রাখবে বলে সম্মত হয়েছিল। অন্যান্য সমস্যা নিয়ে সোমবার আলোচনা হতে পারে। এদিকে নিয়ন্ত্রণরেখায় রোববার রাতে নতুন করে আর কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। রোববার রাত ছিল শান্তিপূর্ণ।
রোববার (১১ মে) রাতে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতীয় সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘ওহা সে গোলি চলেগি, ইহা সে গোলা চলেগা’ (ওদিক থেকে যদি গুলি চালানো হয়, তবে এখান থেকে গোলা ছোড়া হবে)।
এদিকে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের টানা ৪৮ ঘণ্টার জোরালো কূটনৈতিক প্রচেষ্টা। এভাবেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।
এর আগে, ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে একটি সামরিক অভিযান চালিয়ে পাকিস্তানের কয়েকটি স্থানে হামলা চালায়। ভারতীয় যুদ্ধবিমান থেকে লঞ্চ করা অস্ত্র ব্যবহার করে এই হামলাগুলো করা হয়। ভারত মনে করছে, এই হামলার মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে সীমান্তে গোলাবর্ষণ ও ড্রোন হামলার জবাব দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে ভারতের হামলার জবাবে দেশটির বিরুদ্ধে ‘অপারেশন বুনিয়ান মারসুস’ নামে পাল্টা অভিযান শুরু করে ইসলামাবাদ। দুই দেশই বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা প্রতিহত করার দাবি করেছে। এরপরও কিছু হামলায় ক্ষয়ক্ষতির কথাও স্বীকার করেছে দেশ দুটি।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।