ডাক্তারদের হাতের লেখা ঠিক করার নির্দেশ দিলেন আদালত
নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:২৩

পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে সম্প্রতি বিচারপতি জশগুরপ্রীত সিংহ পুরি বলেন, “পড়তে সুবিধাজনক চিকিৎসা প্রেসক্রিপশন রোগীর মৌলিক অধিকার।” কারণ অস্পষ্ট লেখা রোগীর জীবন-মরণের ক্ষেত্রে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।
ঘটনার সূত্রপাত ঘটে একটি ধর্ষণ ও প্রতারণা সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে, যেখানে সরকারি চিকিৎসকের মেডিকো-লিগ্যাল রিপোর্ট পড়া প্রায় অসম্ভব ছিল। বিচারকের ভাষায়, “প্রযুক্তি সহজলভ্য সত্ত্বেও সরকারি ডাক্তাররা এমন প্রেসক্রিপশন লিখছেন যা কেবল কিছু ফার্মাসিস্ট ছাড়া কেউ বুঝতে পারে না।”
আদালত নির্দেশ দিয়েছে, আগামী দুই বছরের মধ্যে ডিজিটাল প্রেসক্রিপশন চালু করতে হবে। ততদিন পর্যন্ত সকল ডাক্তারকে স্পষ্ট এবং বড় হাতের অক্ষরে প্রেসক্রিপশন লিখতে হবে। এছাড়া, মেডিকেল কলেজের শিক্ষাক্রমেও হাতের লেখা শেখানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ভারতের মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, শহরে অনেক ডাক্তার ডিজিটাল প্রেসক্রিপশন ব্যবহার করছেন, তবে গ্রামীণ ও ছোট শহরে এখনও অস্পষ্ট হাতের লেখা প্রচলিত। সংগঠনের সভাপতি ডা. দিলীপ ভানুশালী বলেন, “প্রায়ই ডাক্তাররা তাড়াহুড়া করে লিখেন। দিনে সাতজন রোগী দেখলে স্পষ্ট লেখা সম্ভব, কিন্তু ৭০ জন রোগী দেখলে তা কঠিন।”
বিশ্বজুড়ে অস্পষ্ট প্রেসক্রিপশন ভুল চিকিৎসার বড় কারণ। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর অন্তত ৭ হাজার মানুষ এমন ভুল থেকে মারা যান। ভারতেও বহু রোগী অপঠ্য প্রেসক্রিপশনের কারণে ভুল ওষুধ খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন বা মৃত্যুর মুখে পড়েছেন।
ফার্মাসিস্টরা জানাচ্ছেন, অভিজ্ঞতা থাকলেও অনেক সময় ডাক্তারকে ফোন করে নিশ্চিত হতে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিজিটাল প্রেসক্রিপশন চালু হলে শুধু ভুল ওষুধ দেওয়ার ঝুঁকি কমবে না, রোগী ও চিকিৎসক উভয়ের কাজও সহজ হবে।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।