গাজা অভিমুখী ২ জাহাজ ঘিরে ফেলেছে ইসরাইল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১ অক্টোবর ২০২৫, ২০:৩৩

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ত্রাণ সরবরাহের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা আন্তর্জাতিক নৌবহর “সুমুদ ফ্লোটিলা” জানিয়েছে, তাদের বহরের দুটি জাহাজকে ঘিরে ফেলেছে ইসরায়েলি যুদ্ধজাহাজ।

বুধবার গাজা উপকূল থেকে প্রায় ১১৮ নটিক্যাল মাইল দূরে এই ঘটনাটি ঘটে। আয়োজকরা অভিযোগ করেছেন, ইসরায়েলি নৌবাহিনী তাদের নেভিগেশন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল করে দিয়েছে। বহরে থাকা আয়োজক থিয়াগো আভিলা একে ইসরায়েলের “সাইবার হামলা” বলে অভিহিত করেছেন।

নৌবহরের আয়োজকরা জানায়, ইসরায়েলি যুদ্ধজাহাজ দ্রুতগতিতে এসে বহরের “আলমা” ও “সিরিয়াস” নামের জাহাজকে ঘিরে ফেলে। এ সময় জাহাজগুলোতে তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।

৪০টিরও বেশি নৌকা ও জাহাজ নিয়ে গঠিত এই বহরে প্রায় ৫০০ বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন। তাদের মধ্যে আছেন সংসদ সদস্য, মানবাধিকারকর্মী, আইনজীবী এবং সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ।

ইসরায়েলি সেনারা বলেছে, হামাসবিরোধী যুদ্ধের কারণে গাজার নৌ অবরোধ বৈধ। তবে নৌবহরের আয়োজকরা এটিকে আন্তর্জাতিক আইন ও সমুদ্র আইনের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছেন।

ইতালি ও স্পেন উদ্ধার ও মানবিক কার্যক্রমের জন্য নৌবহরের কাছাকাছি অবস্থান নিলেও তারা সংঘাতে জড়াবে না বলে জানিয়েছে। অন্যদিকে, তুরস্ক বহরের গতিবিধি নজরদারিতে ড্রোন ব্যবহার করছে।

সুমুদ ফ্লোটিলা জানায়, ইসরায়েলের আগ্রাসী আচরণ ৪০টিরও বেশি দেশের বেসামরিক নাগরিকদের ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। তবে তারা গাজা উপকূলের উদ্দেশে যাত্রা অব্যাহত রাখবে।

এর আগে গত জুনে গাজা অভিমুখী ছোট একটি বহর থেকে গ্রেটা থুনবার্গসহ অন্তত ১১ জনকে আটক করেছিল ইসরায়েলি নৌবাহিনী। আর ২০১০ সালে একই ধরনের এক ঘটনায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৯ কর্মী নিহত হয়েছিলেন।

 

সূত্র: রয়টার্স



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top