হামাসের প্রতিক্রিয়ায় ইসলামিক জিহাদের সমর্থন, গাজায় শান্তির সম্ভাবনা জাগ্রত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:৫৮

ছবি: রয়টার্স

গাজায় দীর্ঘদিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের মধ্যে অবশেষে শান্তির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত যুদ্ধ অবসানের পরিকল্পনার প্রতি হামাসের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়াকে সমর্থন জানিয়েছে ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ। এই সমর্থন উভয় গোষ্ঠীর হাতে থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির পথ সহজ করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ইরান-সমর্থিত ইসলামিক জিহাদ এক বিবৃতিতে জানায়, “হামাসের প্রতিক্রিয়া ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলির অভিন্ন অবস্থানকে প্রকাশ করে। আমরা দায়িত্বশীলভাবে পরামর্শে অংশগ্রহণ করেছি।”

হামাস ট্রাম্পের পরিকল্পনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে-

  • যুদ্ধের অবসান,

  • ইসরায়েলি সেনাদের গাজা থেকে প্রত্যাহার,

  • ইসরায়েলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি।

এতে গাজার মানুষের মধ্যে আশার আলো জেগেছে, যদিও অনেকেই আশঙ্কা করছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু শেষ মুহূর্তে এ চুক্তি ভণ্ডুল করতে পারেন।

নেতানিয়াহুর কার্যালয় শনিবার জানায়, হামাসের প্রতিক্রিয়ার পর ইসরায়েল ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রথম ধাপ— জিম্মি মুক্তির প্রক্রিয়া, বাস্তবায়নে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তবে একইসঙ্গে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজা শহরকে "বিপজ্জনক যুদ্ধক্ষেত্র" আখ্যা দিয়ে বাসিন্দাদের সরে যেতে সতর্ক করেছে।

শনিবার ভোরে ইসরায়েলি বিমান হামলা কিছুটা কমলেও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, গাজায় ছয়জন নিহত হয়েছেন, এর মধ্যে চারজন গাজা শহরে এবং দুজন খান ইউনিসে।

ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা ইতোমধ্যেই অস্ট্রেলিয়া, ভারত, কানাডাসহ বিশ্বজুড়ে সমর্থন পেয়েছে।
ট্রাম্প বলেছেন, “ইসরায়েলকে অবিলম্বে গাজায় বোমা হামলা বন্ধ করতে হবে, যাতে আমরা জিম্মিদের নিরাপদে বের করে আনতে পারি।”

  • ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে হামাসের আকস্মিক হামলার পর ইসরায়েল গাজায় আক্রমণ শুরু করে।

  • ইসরায়েলের হিসাব অনুযায়ী এখনো ৪৮ জন জিম্মি রয়েছে, যার মধ্যে ২০ জন জীবিত।

  • গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, ইসরায়েলের অভিযানে ইতোমধ্যেই ৬৬,০০০-এরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক।

  • ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজায় এখন ভয়াবহ মানবিক সংকট বিরাজ করছে।

হামাস ও ইসলামিক জিহাদের অবস্থান গাজায় স্থায়ী শান্তির জন্য একটি নতুন দ্বার খুলে দিতে পারে। তবে ইসরায়েলি অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্ত এই প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে কিনা, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন।

 

সুত্র: রয়টার্স 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top