গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলা, নিহত অন্তত ৭০
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৪৯

গাজায় ইসরায়েলের বিমান ও স্থল হামলায় অন্তত ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু রয়েছে।
গাজার সিভিল ডিফেন্স টেলিগ্রামে জানায়, সাম্প্রতিক হামলাগুলোতে শিশুদের মৃত্যুর হার বিশেষভাবে উদ্বেগজনক।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান সত্ত্বেও ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা বন্ধ হয়নি।
গত শুক্রবার ট্রাম্প হামাসের কাছে তার ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানান। তবে পরদিন থেকেই ইসরায়েল একের পর এক আক্রমণ চালাতে থাকে, ফলে গাজার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে।
শনিবার গাজা সিটির তুফ্ফাহ এলাকায় একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৮ জন নিহত ও বহু মানুষ আহত হন। আশপাশের বেশ কয়েকটি ভবনও ধ্বংস হয়ে গেছে। নিহতদের মধ্যে ৭ জন শিশু রয়েছে, যাদের বয়স দুই মাস থেকে আট বছর।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের আল-মাওয়াসি শিবিরেও হামলা চালানো হয়, যেখানে দুই শিশু নিহত ও অন্তত আটজন আহত হন।
এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দাবি করেন, ‘কূটনৈতিক ও সামরিক চাপের কারণেই’ গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তির ঘোষণা তিনি ‘কয়েক দিনের মধ্যেই’ দিতে পারবেন।
তবে তার এই মন্তব্যের পরও ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত রয়েছে।
বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে নেতানিয়াহুর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, হামাসকে নিরস্ত্র করা হবে এবং গাজাকে সামরিক শক্তি থেকে মুক্ত করা হবে—“সহজ বা কঠিন উপায়ে।”
আল জাজিরা জানায়, আল-মাওয়াসি অঞ্চলটি আগে ইসরায়েলের ঘোষণায় “নিরাপদ মানবিক অঞ্চল” হিসেবে চিহ্নিত ছিল, যেখানে ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে এই অঞ্চল বারবার হামলার শিকার হয়েছে, যা গাজার সাধারণ মানুষের জন্য আরও বিপদজনক হয়ে উঠেছে।
এদিকে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরসহ গাজার বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলের বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। এসব হামলায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের পাশাপাশি বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
গাজার সাংবাদিক হিন্দ খুদারি আল জাজিরাকে জানান, স্থানীয় হাসপাতালগুলো চরম সংকটে রয়েছে। চিকিৎসা সরঞ্জাম ও জ্বালানির অভাবে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
গাজার পরিস্থিতি দিন দিন আরও অবনতি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জোরদার হলেও, দুই পক্ষের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা এখনও অনিশ্চিত।
সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি, ডেইলি টাইমস
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।