অবশেষে গাজায় ঢুকছে ত্রাণবাহী ট্রাক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১০:০৪

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় গাজায় প্রবেশ করেছে ত্রাণবাহী ট্রাকের বহর। ইসরায়েলও চুক্তি মোতাবেক অবরোধ শিথিল করেছে।
গতকাল দক্ষিণ গাজার রাফা সীমান্ত দিয়ে প্রথম দফায় ১০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করে। এর আগে ট্রাকগুলোকে মিসরের কারেম আবু সালেম ও আল-আওজা ক্রসিংয়ে এনে মানবিক সাহায্য সামগ্রী পরিদর্শন করা হয়।
হামাস কর্মকর্তা ওসামা হামদান জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে মোট পাঁচটি ক্রসিং খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি বলেন, আগামী বুধবার থেকে রাফা ক্রসিং উভয় দিকের ব্যক্তিদের জন্যও খুলে দেওয়া হবে।
রবিবার সকালে প্রায় ৪০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের প্রস্তুতির জন্য রাফা থেকে অন্যান্য ক্রসিংয়ে স্থানান্তরিত হয়। প্রথম ঘণ্টায় ৯০টি ট্রাক ইতোমধ্যে মিসরীয় দিক থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।
এরই মধ্যে বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে এবং সাহায্য বিতরণের দায়িত্ব জাতিসংঘ ও তার সহযোগী সংস্থাগুলোর হাতে হস্তান্তর করেছে।
আলজাজিরা জানিয়েছে, গাজায় এখন কার্যত দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞের কারণে অনেক ফিলিস্তিনি ত্রাণ নিতে দীর্ঘ পথ হেঁটে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
ত্রাণ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির পর তারা গাজায় খাদ্য, চিকিৎসা সামগ্রী, আশ্রয় উপকরণ, জ্বালানি ও রান্নার গ্যাস পাঠাতে প্রস্তুত। জাতিসংঘের হিসেবে, মানবিক সংকট মোকাবিলায় গাজায় প্রতিদিন অন্তত ৬০০টি ট্রাক প্রবেশ করা জরুরি।
ইসরায়েলের আর্মি রেডিও জানিয়েছে, যুদ্ধের সময় গাজা ছেড়ে যাওয়া বাসিন্দাদের রাফা সীমান্তপথে ফিরতে অনুমতি দেওয়া হবে। এছাড়া দক্ষিণ দিক থেকে উত্তর দিকে সালাহ আল-দিন ও আল-রশিদ সড়ক ব্যবহার করে ট্রাকগুলো চলাচল করবে।
নতুন চুক্তির আওতায় গাজাবাসীরা ইসরায়েলের অনুমোদন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের তত্ত্বাবধানে মিসরে যাতায়াত করতে পারবে। এতে সংখ্যার কোনো সীমাবদ্ধতা থাকবে না।
এই ব্যবস্থার ফলে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর প্রথমবারের মতো মিসরে চলে যাওয়া ফিলিস্তিনিরা আবার নিজেদের মাতৃভূমি গাজায় ফিরতে পারবেন।
সূত্র: রয়টার্স, আলজাজিরা, এএফপি
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।