হামাস মৃতদেহ সরবরাহে শর্ত; ইসরায়েল অব্যাহত চাপ — যুদ্ধে শান্তি চুক্তি অনিশ্চিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৩:১৫

ছবি: সংগৃহীত

হামাস বলছে মৃতদেহ উদ্ধারে প্রয়োজন অত্যাধুনিক সরঞ্জাম; ইসরায়েল জানিয়েছে বাকি ২৮ বন্দি ফিরিয়ে না দিলে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্থায়ী হবে না — জাতিসংঘও গাজার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

গাজা-ইসরায়েল সংঘাতে যুদ্ধবিরতি বিষয়ক আলোচনায় নতুন টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে। হামাস জানিয়েছে, যেসব মৃতদেহ উদ্ধার করতে তাদের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি দেওয়া প্রয়োজন — তা না দিলে ধ্বংসস্তূপ থেকে লাশ উত্তোলন করা সম্ভব হবে না। প্রচলিত চাহিদা না মেটালে মৃতদেহ ফেরত দেয়ার কাজ চালানো যাবে না, বলে তারা দাবি করেছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলোদুন (শিরোনামকথ্য অনুযায়ী) হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, যদি হামাস যৌথ চুক্তি অনুযায়ী পদক্ষেপ না নেয় তাহলে ইসরায়েল পুনরায় সামরিক অভিযান শুরু করবে। এছাড়া ইসরায়েল স্পষ্ট করে বলেছে, হামাস যদি বাকি ২৮ জন বন্দিকে মুক্তি না দেয় তাহলে যুদ্ধে হওয়ার সম্মতি বা যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হবে না — এমন শর্তেই তারা অনড়।

জাতিসংঘও গাজার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে যে, গাজায় এখনও যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে এবং বেসামরিকদের নিরাপত্তা ও মানবিক সহায়তা জরুরি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চাপ দিয়ে আসছে যে, নিহতদের মরদেহীর সম্মানজনকভাবে প্রতিটি পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া উচিত এবং আহতদের চিকিৎসা পৌঁছাতে হবে।

পরিস্থিতি ও প্রভাব

  • হামাসের দাবি অনুযায়ী ধ্বংসস্তূপের গভীরে চাপা পড়া মৃতদেহ উদ্ধারে সরঞ্জাম ও প্রযুক্তিগত সহায়তা অপরিহার্য।

  • ইসরায়েলের শর্তে বাকি বন্দিদের মুক্তি না হলে সামরিক প্রতিক্রিয়া বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

  • জাতিসংঘের উদ্বেগ জনসাধারণের নিরাপত্তা, মানবিক অবস্থা ও যুদ্ধবিরতি চুক্তির স্থায়িত্ব নিয়ে দেখা দিয়েছে।

কৌতূহল ও অনিশ্চয়তা

চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কী ধরণের “অত্যাধুনিক সরঞ্জাম” বা আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রয়োজন হবে — তা এখনই স্পষ্ট নয়। একই সঙ্গে বন্দিদের বিনিময় বা মুক্তি-সংক্রান্ত আলোচনায় কবে ও কীভাবে সমাধান আসবে তা অনির্দিষ্ট রয়ে গেছে। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা বা তৃতীয় পক্ষের ভূমিকা বাড়ানো হতে পারে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top