ভারতে কংগ্রেসের সভায় বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত, সমালোচনায় বিজেপি
ওলিউল্লাহ তুহিন | প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:০০
ভারতের আসামে কংগ্রেসের এক সভায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘আমার সোনার বাংলা’ গান গাওয়াকে কেন্দ্র করে নতুন রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিজেপি কংগ্রেসকে ‘বাংলাদেশপ্রীতি’ নিয়ে অভিযুক্ত করেছে। বুধবার (২৯ অক্টোবর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এই খবর প্রকাশ করেছে।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আসামের শ্রীভূমি জেলার (আগের নাম করিমগঞ্জ) কংগ্রেস সভায় জেলা পর্যায়ের এক নেতা বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে পরিচিত এই গান গাওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজেপি নেতারা। তারা কংগ্রেসকে ‘বাংলাদেশ-আসক্ত’ বলেও কটাক্ষ করেছেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিজেপির এই আক্রমণে গানটির ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট উপেক্ষা করা হয়েছে। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে রচিত এই গানটি ১৯১১ সালে বিভাজন বাতিলের আন্দোলনের অংশ ছিল। স্বাধীনতার পর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ এই গানকে তাদের জাতীয় সংগীত হিসেবে গ্রহণ করে। গানটিতে বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও মানুষের আবেগময় সম্পর্কের বর্ণনা রয়েছে।
কংগ্রেসের উপনেতা ও লোকসভার সদস্য গৌরব গগৈ বলেন, “বিজেপি গানটির ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক তাৎপর্য বোঝে না। আমাদের ৮০ বছর বয়সী সিনিয়র সদস্য বিধু ভূষণ দাস এই সুন্দর বাংলা গানটি গেয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি, তাঁর লেখা একটি বাংলা গান নিয়ে আপত্তি কোথায়?”
এদিকে আসামের বিজেপি শাখা এক বিবৃতিতে বলেছে, “কিছুদিন আগে বাংলাদেশ একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছে উত্তর-পূর্ব ভারত নিজেদের বলে দাবি করে, আর এখন সেই বাংলাদেশ-আসক্ত কংগ্রেস আসামের মঞ্চে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গাইছে।” আসামের মন্ত্রী অশোক সিংহলও সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’ গাওয়া হলো কংগ্রেস সভায়। এটি সেই দেশের গান যারা ভারতের উত্তর-পূর্ব আলাদা করতে চায়।”
এ ঘটনায় আসামের রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনা দেখা দিয়েছে, যেখানে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও রাজনৈতিক ভাবনাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক চলছেই।
নিফ্লা৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।