বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সি নির্বাচনে মানদণ্ড প্রকাশ করেছে মালয়েশিয়া সরকার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৫৫
দুই দেশের সরকারি পর্যায়ে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচনের জন্য নতুন মানদণ্ড প্রকাশ করেছে। সোমবার (২৯ অক্টোবর) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ২১-২২ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার তৃতীয় জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ (জেডব্লিউজ) সভায় এই বিষয়ে আলোচনা হয়। সভায় মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি দল প্রতিশ্রুতি দেয় যে, অন্য দেশের মতোই বাংলাদেশকেও সমান সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচনের মানদণ্ড নির্ধারণ করে বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হবে। সে অনুযায়ী মালয়েশিয়া সরকার এই মানদণ্ড প্রকাশ করেছে।
ঘোষিত মানদণ্ড অনুযায়ী শর্তগুলো হলো:
১. রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স পাওয়ার পর অন্তত পাঁচ বছর সন্তোষজনকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
২. বিগত পাঁচ বছরে অন্তত তিন হাজার কর্মী বিদেশে প্রেরণের প্রমাণ থাকতে হবে।
৩. কমপক্ষে তিনটি দেশে কর্মী প্রেরণের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
৪. নিয়োগ, মূল্যায়ন ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগের অনুমোদনপ্রাপ্ত হতে হবে।
৫. এজেন্সির বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, আর্থিক অপরাধ বা অবৈধ অভিবাসন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ থাকা চলবে না।
৬. নিজস্ব প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়ন কেন্দ্র থাকতে হবে, যেখানে নির্দেশনামূলক মডিউল থাকবে।
৭. দেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে রিক্রুটিং
এজেন্সির সদাচরণের সার্টিফিকেট থাকতে হবে।৮. অন্তত পাঁচজন আন্তর্জাতিক নিয়োগকর্তার কাছ থেকে সন্তোষজনক অভিবাসন সম্পাদনের সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
৯. ন্যূনতম ১০,০০০ বর্গফুটের অফিসে তিন বছর ধরে কার্যক্রম পরিচালনার প্রমাণ থাকতে হবে।১০. যে সব দেশে কর্মী পাঠানো হয়েছে, সেসব দেশের আইনসম্মত ও পদ্ধতিগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে—এমন প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে।
সরকারি সূত্র জানায়, এই মানদণ্ড নির্ধারণের মাধ্যমে মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও যোগ্য রিক্রুটিং এজেন্সি নির্বাচন করতে চায়, যাতে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও গুণগত মান নিশ্চিত হয়।
নিফ্লা৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।