বৃহঃস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২

যুদ্ধবিরতির পরেও গাজায় দেড় হাজারের বেশি ভবন ধ্বংস করেছে ইসরাইল

নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৩৪

ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধবিরতির পরেও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় অন্তত ১,৫০০-র বেশি ভবন ধ্বংস করেছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। বিবিসি ভেরিফাইয়ের বিশ্লেষিত স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, গত ১০ অক্টোবর হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে ইসরাইলি নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকাগুলোয় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে।

গত ৮ নভেম্বর সর্বশেষ তোলা স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যায়, ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) নিয়ন্ত্রিত পুরো অঞ্চল এক মাসেরও কম সময়ে প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। অনেকের মতে, এই ধ্বংসযজ্ঞ যুক্তরাষ্ট্র, মিশর, কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতির শর্তাবলীর সরাসরি লঙ্ঘন।

তবে আইডিএফের এক মুখপাত্র বিবিসি ভেরিফাইকে জানিয়েছেন, তারা যুদ্ধবিরতি কাঠামোর মধ্যেই কাজ করছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত গাজার জন্য ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার ভিত্তিতেই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। ওই পরিকল্পনায় বিমান ও কামান হামলাসহ সব সামরিক অভিযান বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু বিবিসি ভেরিফাইয়ের স্যাটেলাইট বিশ্লেষণ বলছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজায় ভবন ধ্বংস অব্যাহত রেখেছে।

যুদ্ধবিরতির আগে ও পরে তোলা রাডার চিত্রে দেখা যায়, গাজার দক্ষিণের খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলীয় আবাসিক এলাকায় ‘হলুদ রেখা’র পেছনে ধ্বংস হওয়া ভবনগুলো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।

বিশ্লেষণে আরও জানা যায়, বহু ভবন ধ্বংস হওয়ার আগে দৃশ্যত অক্ষত ছিল। যেমন, আবাসান আল-কাবিরার আশপাশের অনেক ঘরবাড়িতে কোনো বড় ক্ষতির চিহ্ন দেখা যায়নি, অথচ পরবর্তী চিত্রে সেগুলো সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘ সম্প্রতি জানিয়েছে, ইসরাইল গাজায় মানবিক ত্রাণ প্রবেশেও বাধা দিচ্ছে, যা স্থানীয়দের জীবন আরও সংকটময় করে তুলছে।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top