বৃহঃস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১

নির্বাচনের আকাক্সক্ষাকে বিতর্কিত করলে জনগণ আবার বঞ্চিত হবে: ফখরুল

Nasir Uddin | প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭:২০

ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্র্বতী সরকার নিরপেক্ষ না থাকলে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, অন্তর্র্বতী সরকারের উচিত সংস্কার দ্রুত শেষ করে নির্বাচনের পথে যাওয়া। জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। জোর করে নির্বাচনের আকাক্সক্ষাকে বিতর্কিত করলে জনগণ আবার অধিকার বঞ্চিত হবে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে শহীদ আসাদের ৫৬তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

নিজেদের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করে স্বৈরাচারের প্রেতাত্মাদের সুযোগ সৃষ্টি করে না দিতে সকলের প্রতি আহ্বানও জানান বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে আমরা যারা জড়িত ছিলাম আমাদের কাছে শহীদ আসাদ নামটি অত্যন্ত ভালোবাসার নাম। আমরা যে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি তাতে অনুপ্রেরণা নাম। শহীদ আসাদ আমাদের ইতিহাসে একটি অবসম্ভাবী নাম। পাঠ্যপুস্তক এর নাম না থাকুক বা স্মরণ না করুক কিন্তু শহীদ আসাদকে ইতিহাস থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না। এদেশের স্বাধীনতার যে আন্দোলন সমাজকে বদলে দেওয়ার যে সংগ্রাম সেই সংগ্রামে আসাদ অবশ্যই অমর হয়ে থাকবেন ইতিহাসে।

তিনি বলেন, আমরা আজকে আরেকটি গণঅভ্যুত্থানের পরে এখানে সমবেত হয়েছি। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পরে একটি ফ্যাসিস্টকে দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য করেছি।

ফখরুল বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পরে জনগণের প্রত্যাশা অনেক বেড়েছে। কিন্তু এমন একটি সময় এসে দাঁড়িয়েছি যেখানে জনগণের প্রত্যাশাগুলো পূরণ হবে কিনা নিশ্চিত হতে পারছি না। এখানে অনেক কথা আছে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন প্রোগ্রাম আছে সমাবেশ আছে, সে কর্মসূচিগুলো নিয়ে তারা এগোতে চায়।

‘কিন্তু একটি বিষয় সকলে একমত যে নির্বাচন হওয়া দরকার। নির্বাচনটা শুধু একটি দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য নয়। নির্বাচনটা হচ্ছে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া যাওয়ার জন্য। তা না হলে মানুষ তাদের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে তৎকালীন শাসক আইয়ুব খানকে চলে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। কিন্তু আমাদের যে লক্ষ্য তা আমরা পূরণ করতে পারিনি। যে এত বছর পরেও একটি নির্বাচন করতে পারি না। আমরা যারা রাজনীতি করি সব সময় পরিবর্তন করার চেষ্টা করি কিন্তু পেরে উঠি না। একটি পক্ষ রয়েছে যারা নিরবে সংগ্রামের ধারাটাকে বদলি দিতে চান।’

শহীদ আসাদকে নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ঊনসত্তরের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আমরা যারা জড়িত ছিলাম, তাদের কাছে শহীদ আসাদ অত্যন্ত ভালোবাসার নাম। আমরা যে সংগ্রাম-আন্দোলন করেছি, সেই সংগ্রাম-আন্দোলনে আসাদ একটি অনুপ্রেরণার নাম। শহীদ আসাদ আমাদের ইতিহাসের একটি অবশ্যম্ভাবী একটি নাম। যতই পাঠ্যপুস্তকে নাম না থাকুক বা কেউ স্মরণ না করুক, শহীদ আসাদকে ইতিহাস থেকে কেউ বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না। এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে আসাদ অমর হয়ে থাকবেন।

তিনি বলেন, চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ফলে আমরা একজন ফ্যাসিস্ট শাসককে দেশ থেকে চলে যেতে বাধ্য করেছি। ঊনসত্তুরের গণঅভ্যুত্থানে তৎকালীন সামরিক শাসক আইয়ুব খানকে চলে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। কিন্তু আমরা আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে পারিনি।

তিনি আরও বলেন, আজকে শহীদ আসাদ খুব প্রাসঙ্গিক। আমরা ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছি, দীর্ঘ ১৫ বছর লড়াই করেছি, সবশেষে আমরা বিজয় অর্জন একটি করেছি। যারা এই বিজয় আনতে প্রাণ দিয়েছেন, সামনের দিনগুলোতে যাতে আমরা তাদের স্বপ্নগুলো যাতে বাস্তবায়ন করতে পারি, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

শহীদ আসাদ পরিষদের সভাপতি ড. মাহবুব উল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top