দোয়ারাবাজারে কিশোরের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা দায়ের, গ্রেফতার ২

দোয়ারাবাজার থেকে | প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০২১, ২০:৫১

দোয়ারাবাজারে কিশোরের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা দায়ের, গ্রেফতার ২

দোয়ারাবাজার উপজেলার ২নং নরসিংপুর ইউনিয়নের বালিউড়া বাজারে একটি চায়ের দোকান ঘরের ভেতর থেকে এক কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। শুক্রবার (২৩ জুলাই ) নিহত মামুন আলীর মা রুপিয়া বেগম বাদি হয়ে দোয়রাবাজার থানায় এ হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।

পুলিশ এ হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার নোয়ারাই ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের পুত্র আশ্রব আলী (৪৫) ও দোয়ারাবাজার উপজেলার ২নং নরসিংপুর ইউনিয়নের দোয়ারগাও গ্রামের আবেদ আলীর পুত্র আমজাদ আলী (২২) কে গ্রেপ্তার করেছে।

পুলিশ জানায়, সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বিপিএম’র দিক নির্দেশনায়, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, ছাতক সার্কেল মোঃ বিল্লাল হোসেনের পরামর্শে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ দেব দুলাল ধর এর নেতৃত্বে থানার একটি চৌকশ পুলিশ টিম মামলা দায়েরের দ্রুততম সময়ের মধ্যে ছাতক থানার চাঁনপুর বাজার হতে আসামী আশ্রব আলীকে ও দোয়ারাবাজার এর বালিউড়া গ্রাম থেকে আমজাদ আলীকে গ্রেপ্তার করে মামলার রহস্য উদঘাটন করে আসামীদের আদালতে প্রেরণ করেন। ইতিমধ্যে প্রধান আসামী আশ্রব আলী আদালতে মামলার ঘটনার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলর জবানবন্দী প্রদান করেছে।

এ ব্যাপারে শুক্রবার সন্ধ্যায় দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেবদুলাল ধর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মামুন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। খুনের ঘটনায় দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিশোর মামুন হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া হোটেল মালিক আশ্রব আলী ও কর্মচারী আমজদ আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান চলছে।

উল্লেখ্য, বুধবার ঈদের দিন সকালে উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের বালিউরা বাজারস্থ আশ্রব আলীর হোটেলের রান্নাঘর থেকে কিশোর মামুনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সুরতহাল রিপোর্টে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে পোড়ার (আগুনে ছ্যাঁকার) দাগ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

নিহত মামুন একই উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের গোজাউড়া গ্রামের বিল্লাল হোসেনের পুত্র। ওই বাজারে একটি ভাড়াটে ঘরে স্ত্রী-সন্তানসহ দীর্ঘদিন ধরে কাঁচামালের ব্যবসা করছেন বিল্লাল হোসেন। নিখোঁজের দুদিন পর ঈদের দিন বুধবার সকালে ওই হোটেলের পরিচ্ছন্নতাকর্মী জয়তুন নেছা দুদিন বন্ধ থাকা ওই হোটেলের দরজার তালা খুলে রান্নাঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে মেঝেতে মামুনের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মৃত দেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে মৃতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন।

এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top