সৈয়দপুরে হাসপাতালে নবজাতক বিক্রি, ফিরিয়ে আনলো পুলিশ

নীলফামারী থেকে | প্রকাশিত: ৪ আগষ্ট ২০২১, ০৩:৫৩

সৈয়দপুরে হাসপাতালে নবজাতক বিক্রি, ফিরিয়ে আনলো পুলিশ

নীলফামারীর সৈয়দপুরে নবজাতক পুত্র সন্তানকে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে এক দম্পতির বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে পুলিশ দু'ঘণ্টার মধ্যে নবজাতককে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরে দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শহরের নিচু কলোনি এলাকার নাদিমের স্ত্রী জোসনা বেগম (৩২) প্রসব বেদনা নিয়ে সকাল সোয়া ৭ টার দিকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি হয়। সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে এক পুত্র সন্তান প্রসব করে। এরপর ওই নবজাতককে তারা ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয় একই এলাকার জৈনক জামিলার খাতুনের কাছে।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা শহরের কুন্দল এলাকার রফিক মিয়া জানান, হাসপাতালে মূল গেটে নবজাতকের বাবার সাথে ক্রেতা একজন মহিলার চুক্তিপত্র সম্পাদন হতে দেখি। চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর শেষে মহিলাটি নবজাতকের বাবার হাতে কিছু টাকা তুলে দেন।

পরে এ ঘটনাটি চাউর হয়ে পড়লে সৈয়দপুর সদর পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা আব্দুর রহিম দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্রিত নবজাতককে উদ্ধারে তৎপর হয়ে উঠেন। মাত্র দুই ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল সাড়ে ১১টায় ওই মহিলার কাছ থেকে উদ্ধার হয় ওই নবজাতক।

নবজাতকের মা জোসনা বেগম জানান, জামিলা খাতুন আমার দূর সম্পর্কীয় ফুফাতো বোন। তাঁর কোন পুত্র সন্তান না থাকায় তাকে স্বেচ্ছায় দিয়েছি। তবে আমার চিকিৎসারে খরচ বাবদ ২০ হাজার টাকা সে দিয়েছে।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নবিউর রহমান জানান, সকাল ১০টার দিকে ঘটনাটি জানতে পেয়ে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ওমেদুল হাসান সম্রাট ও গাইনী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাসুদা আফরোজ সহ ওই ওয়ার্ডে পরিদর্শনে যাই। সেখানে নবজাতকের মা জোসনা বেগমকে দেখতে পাই কিন্তু ওই সময় নবজাতককে বেডে পাওয়া যায়নি।

সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান জানান, খবর পেয়ে আমাদের পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল উপস্থিত হয়ে নিখোঁজ নবজাতককে উদ্ধার করে। তিনি জানান, নবজাতক বিক্রির বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top