ম্যারিও সিমো ভ্যামৌ ৫০ বছর পর বাবার বাড়িতে
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০২২, ০৫:৫৫
১৯৭৩ সালে বাবা মো. ইউসুফের মৃত্যুর পর চাচার পরামর্শে চার বোন ও দুই ভাইকে নিয়ে মায়ের সঙ্গে ভোলা থেকে ঢাকায় পাড়ি জমান কুলসুম। ঢাকার মোহাম্মদপুরের কাঠপট্টিতে একটি ছোট্ট ঘরে সন্তান নিয়ে থাকা শুরু করেন মা মাফিয়া বেগম।
সংসারের অভাবের কারণে কিছুদিন পর কুলসুম ও তার ছোট বোন সুমির আশ্রয় হয় একটি এতিমখানায়। তখন কুলসুমের বয়স পাঁচ বছর। সুমির বয়স তিন বছর। পরে এতিমখানা থেকে দুই বোনকে দত্তক দেয় এক সুইস দম্পতি।
দীর্ঘ ৪৫ বছর পর বুধবার (২০ এপ্রিল) কুলসুম (বর্তমান নাম ম্যারিও সিমো ভ্যামৌ) সুইজারল্যান্ড থেকে ভোলায় ফিরেছেন। তার বাবার বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চটিয়া গ্রামের মনু ফকির বাড়ি।
কুলসুমের গ্রামের বাড়ি ফিরে আসার খবরে পুরো গ্রামজুড়ে আনন্দের জোয়ার বয়ে যায়। কুলসুম ও তার স্বামী সুইজাল্যান্ডের বাসিন্দা আন্দে সিমন ভারমুটকে গ্রামের বাড়ির পরিবারের সদস্যরা ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। তারা আসবেন বলে বাড়ি সাজানো হয়।
তবে মায়ের সঙ্গে গ্রামে ফিরতে পারেননি কুলসুম। তার মা মাফিয়া বেগমের বর্তমান বয়স ৮৫ বছর এবং তিনি অসুস্থ। তিনি ঢাকায় রয়েছেন। মায়ের অসুস্থতার কারণে স্বামী নিয়েই গ্রামের বাড়িতে আসেন কুলসুম।
কুলসুমের ছোট চাচা আব্দুল রব বলেন, ‘দীর্ঘ ৪৫ বছর পর আমার ভাতিজিকে দেখতে পেয়েছি। সে আমাকে প্রথমে চিনতে পারেনি। পরে চিনতে পেরেছে। সে ফিরে আসায় আমরা খুবই খুশি হয়েছি।’ সকাল ৮টার দিকে স্বামীকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি আসেন কুলসুম। পরে দুপুর ১টার দিকে তারা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
এনএফ৭১/আরআর/২০২২
বিষয়: ভোলা
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।