লক্ষ্মীপুরে ভুয়া প্রশ্নপত্রে প্রতারণার ফাঁদ, নারী-পুরুষসহ আটক ১৩

লক্ষ্মীপুর থেকে | প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল ২০২২, ০৬:০৭

লক্ষ্মীপুরে ভুয়া প্রশ্নপত্রে প্রতারণার ফাঁদ, নারী-পুরুষসহ আটক ১৩

লক্ষ্মীপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ভূয়া প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের তিন সদস্য ও ১০ পরীক্ষার্থীসহ ১৩জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে কয়েকটি ব্যাল্ক চেক, বিভিন্ন পরীক্ষা পাসের মূল সনদপত্র ও ৮টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার সকালে পরীক্ষা শুরুর আগে ভূয়া প্রশ্নপত্রসহ জেলার রামগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের চিতোষী রোডের একটি বাড়ি থেকে মাহমুদুল হোসাইন ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তারসহ ৮জনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আরো ৫জনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত অন্যরা হচ্ছেন, পরীক্ষার্থী সুমি আক্তার,মোরশেদা জান্নাত রিভু,সুরাইয়া আক্তার,তানিয়া বাশার,তাছনিম আক্তার,শারমিন আক্তার,পারভেজ হোসেন,জহিরুল ইসলাম, রহমত উল্যাহ, জামাল উদ্দিন সবুজ ও মঞ্জুর হোসেন। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ১১জনের বাড়ি রামগঞ্জ ও দুইজনের বাড়ি সদর উপজেলায় বলে জানিয়েছেন পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত সবাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার পরীক্ষার্থী ছিলেন।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহদাত হোসেন টিটু বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রামগঞ্জ ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ভূয়া ফাঁসপত্র জালিয়াতচক্রে তিনজনসহ ১৩জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তাদের কাছে পাওয়া প্রশ্নপত্রের সাথে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের মিল নেই। তারা একটি প্রতারক চক্র। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এছড়া শ্রক্রবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার ড.এএইচএম কামরুজ্জামান। এসময় তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মাহামুদুল হোসাইন,জামাল উদ্দিন সবুজ ও মঞ্জুর হোসেন বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার ভূয়া প্রশ্নপত্র তৈরি করে পরীক্ষার্থীদের সাথে প্রতারনা করে আসছিলো। তারই ধারাবাহিকতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ভূয়া প্রশ্নপত্র তৈরি করে। এসব প্রশ্নপত্র জেলাসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের কাছে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে বিতরন করছে। এছাড়া যারা নগদ টাকা দিতে পারছেনা তাদের কাছ থেকে ব্যাল্ক চেক ও পরীক্ষা পাসের মূল সনদ নিচ্ছে এসব চক্র।

পুলিশ সুপার আরো বলেন, প্রতারক চক্রের আরো সদস্যদের খুঁজছে পুলিশ, আটককৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়াসহ প্রত্যেক অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন) পলাশ কান্তি নাথ,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিমতানুর রহমান, ডিএসবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম আজিজুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহদাত হোসেন টিটু।

এনএফ৭১/এমএ/২০২২




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top