স্ত্রী হত্যার ১৬ বছর পর স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২২, ০৩:৫৮
স্ত্রী হত্যায় দীর্ঘ ১৬ বছর পর বগুড়ায় এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (২৪ জুলাই) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক একেএম ফজলুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম উজ্জ্বল প্রাং (৪০)। তিনি সদর উপজেলার কৈচর দক্ষিণপাড়া এলাকার গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। উজ্জ্বল দীর্ঘদিন ধরে পলাতক। রায়ে তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় চার আসামিকে খালাস দেন আদালত। তারা হলেন- উজ্জ্বলের ভাই হিরা প্রাং, উজ্জ্বলের মা আলেয়া বেওয়া, কাহালুর আলোক্ষছত্র এলাকার মৃত মজিবর রহমানের ছেলে নাজমুল হোসেন লাবু ও তার স্ত্রী লাভলী বেগম।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-১ বগুড়ার পিপি নরেশ চন্দ্র মুখার্জী জানান, ২০০৬ সালের জুন মাসে উজ্জ্বলের সঙ্গে শহরের সূত্রাপুর এলাকার আকবর আলী শেখের মেয়ে আলো বেগমের বিয়ে হয়। এতে যৌতুক হিসেবে ৩০ হাজার টাকা দেন উজ্জ্বলকে। পরে বিদেশ যাওয়ার জন্য উজ্জ্বল আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বাকবিতণ্ডাসহ সালিশ হয়। পরে ৫০ হাজার টাকা না দিলে আলো বেগমকে তালাক দিবে বলে উজ্জ্বল জানায় এবং আলো বেগমের পরিবার থেকে আর কোনো টাকা দেওয়া হবে না বলেও উজ্জ্বলকে জানিয়ে দেয়।
পরে ১ আগস্ট বিকাল ৪টার দিকে আলো বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ১৮ আগস্ট নিহত আলো বেগমের ভগ্নীপতি জাহাঙ্গীর আলম উজ্জ্বলকে প্রধান আসামি করে ৫ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ১৬ বছর পর রোববার দুপুরে মামলার সাক্ষ্য প্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, ২০০৬ সালের মামলায় স্ত্রী হত্যার দায়ে পলাতক স্বামী উজ্জ্বলকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত।
এনএফ৭১/আরআর/২০২২
বিষয়: বগুড়া হত্যা মৃত্যুদণ্ড আদালত
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।