নিজ গ্রামে শায়িত হলেন শান্তিরক্ষী জাহাঙ্গীর
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০২২, ০৪:২৬
মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে শান্তিরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার সময় পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী জাহাঙ্গীর আলমকে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার দক্ষিণ তিতপাড়া গ্রামের মসজিদে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
এর আগে একইদিন সকাল ১১টা ১০ মিনিটে ডিমলা রাণী বৃন্দারাণী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাহাঙ্গীরের মরদেহ নিয়ে সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার অবতরণ করে। সেখান থেকে জাহাঙ্গীরের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। সে সময় সেখানে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
জাহাঙ্গীরের কফিন জড়িয়ে ধরে বাবা লতিফর রহমান, মা গোলেনুর বেগম, স্ত্রী শিমু আক্তার কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসময় স্বজন ও আশপাশ থেকে আসা প্রতিবেশীরাও কান্নায় ভেঙে পড়েন। স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার শহীদ জাহাঙ্গীরের বাবা ও মাকে শান্তনা দেন।
গত শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানী ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিন শান্তিরক্ষীর মরদেহ এসে পৌঁছায়।
জাহাঙ্গীর আলম ছিলেন লতিফর রহমানের পাঁচ ছেলের মধ্যে চতুর্থ। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন তিনি। ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের ব্যানব্যাট-৮ এলাকার উইক্যাম্পে শান্তিরক্ষা মিশনে যান তিনি।
স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার বলেন, ‘শহীদ জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুতে আমরা যেমন শোকাহত তেমনি তার মৃত্যু আমাদের জন্য গর্বের। দেশে জন্য তিনি জীবন দিয়েছেন। তিনি আমাদের দেশের গর্বিত সন্তান। আজ থেকে জাহাঙ্গীরের বাড়ির সামনের সড়কটি 'শহীদ জাহাঙ্গীর সড়ক' ঘোষণা করা হলো। কাঁচা সড়কটি দ্রুত পাকা করা হবে।’
গত ৩ অক্টোবর স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের কার্যক্রম পরিচালনার সময় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের একটি বহরে ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইসের (আইইডি) বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তিন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত ও একজন আহত হন।
এনএফ৭১/আরআর/২০২২
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।