রাজধানীর মিরপুরে নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
নিশি রহমান | প্রকাশিত: ২ জানুয়ারী ২০২৩, ২২:৩২
রাজধানীর মিরপুর থেকে ফারজানা আফরিন নামে এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বিকেলে মিরপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ বলছে, খুন করে পালানোর সময় এই নারীর সাবেক স্বামী সাইদুল ইসলামকে স্থানীয়রা ধরে তাদের কাছে সোপর্দ করেন।
প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করেন সাইদুল। বিয়ের পর দ্বিতীয় স্ত্রী ফারজানা প্রথম বিয়ের বিষয়টি জানতে পারেন। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ফারজানার বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তবে তাঁর সঙ্গে নতুন করে সংসার শুরুর চিন্তা করছিলেন সাইদুল।
সাইদুলকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ বলেছে, ফারজানার ‘চারিত্রিক’ বিষয়ে সন্দেহ থেকে সাইদুল সিদ্ধান্ত নেন, সন্দেহ ভুল প্রমাণিত হলে তাঁকে আবার বিয়ে করবেন। এর মধ্যেই গতকাল মিরপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেনে তাঁরা দুজন সাক্ষাৎ করেন। সেখানেই বাক্বিতণ্ডার একপর্যায়ে ফারজানাকে গলা কেটে খুন করেন তিনি।
পুলিশ আরও বলছে, ফারজানার বাড়ি নেত্রকোনায়। বাবা-মায়ের সঙ্গে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে থাকতেন তিনি। সাইদুলের বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায়। সেখানেই দিনমজুরের কাজ করেন তিনি। বিবাহবিচ্ছেদ হলেও ফারজানার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। গত শনিবার সাইদুল ঢাকায় আসেন। তারপর রোববার বিকেলে বোটানিক্যাল গার্ডেনে তাঁদের দেখা হয়।
এ সময় ফারজানার মুঠোফোনে কয়েকটি কল আসে। এ নিয়ে দুজনের কথা–কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে ফারজানার গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করেন সাইদুল। ঘটনাস্থলেই ফারজানার মৃত্যু হয়। পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে উপস্থিত লোকজন সাইদুলকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
শাহ্ আলী থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন সাইদুল। সাইদুলের দাবি, ফারজানা দুটি আপেল সঙ্গে করে এনেছিলেন। এগুলো কাটার জন্য তাঁর ব্যাগে একটি চাকু ছিল। সেই চাকু দিয়ে ফারজানাকে গলা কেটে হত্যা করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ফারজানার মৃতদেহ উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।