পার্বতীপুরে লোকোসেড থেকে
রেল ইঞ্জিনের ব্যাটারী চুরির মামলায় ৪ মাসেও কেউ ধরা পড়েনি
নিজস্ব প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ১১:২৬
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে রেলওয়ে লোকোসেড থেকে ২২ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের রেল ইঞ্জিনের ব্যাটারী চুরি মামলার ৪ মাসেও কেউ ধরা পড়েনি।
জানা গেছে, পার্বতীপুর রেলওয়ের লোকো ইনচার্জ এসএসএই কাফিউল ইসলাম ১৫ দিনের ছুটি শেষে গত ৬ নভেম্বর কর্মস্থলে যোগদান করেন। পরদিন কারখানার এলাকা ঘুরে ৪টি রেল ইঞ্জিন থেকে ৩২ ব্যাটারী চুরির ঘটনা জানতে পেয়ে তিনি বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানান।
প্রকৃতপক্ষে প্রতি ব্যাটারীর মূল্য ৭০ হাজার টাকা হিসেবে ২২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। কিন্তু মামলায় অর্ধেক মূল্য দেখানো হয়েছে। লোকোসেড এলাকার থাকা সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও সেগুলো অচল থাকায় সেখানে চুরির বিষয়টি ধরা পড়েনি। তবে পার্শ্ববতী গেটে থাকা গত ৪ নভেম্বরের সিসিটিভি ক্যামেরায় ব্যাটারীগুলো চুরির দৃশ্য ধরা পড়ে।
এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষ সেখানে কর্মরত রেল নিরাপত্তা বাহিনীর ৭ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। তারা হলেন, এস,আই মাহিদুল ইসলাম, হাবিলদার এমদাদুল হক, সিপাহী শাহিন মিয়া, ছোটন চক্রবর্তী, তৌহিদুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মাহবুবার রহমান।
এ ব্যাপারে লোকো ইনচার্জ এসএসএই কাফিউল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৮-৯ জনের কথা উল্লেখ করে গত ১০ নভেম্বর পার্বতীপুর জিআরপি থানায় একটি চুরি মামলা দায়ের করেন। তিনি জানান, ঝড়ে লোকো এলাকার সিসি ক্যামেরাগুলো নষ্ঠ হওয়ায় সেগুলো অচল হয়ে রয়েছে। কেন ঠিক হয়নি এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, উপরে জানানো হয়েছে। অবশ্য পরে ঠিক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় এ,এম,ই/ও,পি এন্ড এফ/পাকশী আঃ জলিল কে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন লালমনিরহাট আরএনবি’র এ,সি আতাউর রহমান ও পার্বতীপুরের এ,ই,এন রাকিবুল হাসান। গত ১৭ নভেম্বর এ কমিটি পার্বতীপুরে ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত কাজ সম্পন্ন করেন।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জিআরপি থানার এস,আই সিদ্দিক জানান, মামলার বিভিন্ন দিক নিয়ে তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে, তবে এ মামলায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।