মৃত মোবাশ্বিরা পেয়েছে জিপিএ–৫

সুজন হাসান | প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২৪, ১৪:৪৯

ছবি: সংগৃহীত

মৃত্যুর ৫২ দিন পর এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ–৫ পেয়েছে মোবাশ্বিরা ইসলাম। পরীক্ষা দেওয়ার পরপরই জিবে একটি অস্ত্রোপচার করার পর তার আর জ্ঞান ফেরেনি। সেই মোবাশ্বিরার ফল শুনে বাড়িতে কান্নার রোল পড়ে গেছে।

গতকাল চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেয়ে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে উঠে শিক্ষার্থীরা। এতে শামিল হয় অভিভাবকরাও। কিন্তু রাজশাহীর বাঘা উপজেলার নওটিকা গ্রামে স্কুলশিক্ষক মহিরুল ইসলামের বাড়িতে বিষাদ নেমে এসেছে। এসএসসির ফল শুনে বাড়িতে কান্নার রোল পড়ে গেছে।

নওটিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন মোবাশ্বিরা ইসলাম মোহনা। প্রকাশিত এসএসসি ফলাফলে সব বিষয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছেন মোহনা। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, পরীক্ষা দেওয়ার পরপরই মোহনার জিবের নিচে ছোট্ট সিস্ট অস্ত্রোপচার করার জন্য রাজশাহী নগরের আল আমিন নামে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন মা-বাবা। গত ২০ মার্চ সন্ধ্যার আগে মোহনার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। এরপর চেতনা ফিরে পান মোহনা। কথাও বলেন। এরপর একজন নার্স এসে একটি ইনজেকশন দেন। তারপরই অচেতন হয়ে পড়েন মোহনা। একপর্যায়ে পরিস্থিতির অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৫টা ১০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ২১ মার্চ বিকেলে জানাজা শেষে নওটিকা গ্রামে কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

মোবাশ্বিরার বাবা বলেন, রাজশাহীতে অস্ত্রোপচার করতে যাওয়ার সময় রাজশাহী কলেজ দেখে মাকে বলেছিল, আমি রাজশাহী কলেজেই ভর্তি হব। আমার নম্বর ১ হাজার ২০০ এর ওপরেই থাকবে। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জিবে নিচে ছোট্ট একটি সিস্ট অস্ত্রোপচারে মোবাশ্বিরার মৃত্যু হয়।

মোবাশ্বিরার মা বলেন, আমার মেয়ে কলেজ দেখে গেল। নম্বরও ১ হাজার ২০০-এর বেশিই পেল। কিন্তু কলেজে ভর্তি হওয়া হলো না।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top