গাজীপুরের বিভিন্ন সড়কে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, অবরোধ ৫ ঘন্টা
সুজন হাসান | প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:০১
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার আরএকে সিরামিকে প্রতি বছর ইনক্রিমেন্ট ও ভারতীয় কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন কারখানার শ্রমিকরা।
বুধবার সকাল ৬টায় শ্রীপুর উপজেলার ধনুয়া এলাকায় আরএকে সিরামিকের শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করেন। সকাল ৭টায় তারা কারখানার সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলনরত শ্রমিক ও কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে দাবি পূরণে আশ্বস্ত করলে বেলা ১১টায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, শ্রীপুর উপজেলার ধনুয়া এলাকায় আরএকে সিরামিক বিডি লিমিটেডের শ্রমিকরা বুধবার সকাল থেকে ১১টি দাবি জানিয়ে নিয়ে আন্দোলন করে আসছে কারখানার শ্রমিকরা। ভারতীয় কর্মকর্তাদের অপসারণ, শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী সঠিক কর্মচারী নিয়োগ, প্রতি বছর বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধি নিশ্চিত করাসহ ১১টি দাবি জানানো হয়েছে।
শ্রমিকরা জানান, চাকরি স্থায়ীকরণ, বেতন বৃদ্ধি, পারিবারিক চিকিৎসা সুবিধা বৃদ্ধিসহ আট দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা কাজে যোগ দেবেন না।
এদিকে গাজীপুরের বিভিন্ন পোশাক কারখানায় কেবলমাত্র নারী শ্রমিকদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এতে বঞ্চিত হচ্ছেন পুরুষ শ্রমিকরা। কারখানাগুলোতে পুরুষ শ্রমিক নিয়োগ দেওয়ার দাবিতে সকাল থেকে চাকরি বঞ্চিতরা সড়কে নেমে আসেন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর শ্রীপুর ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম আজিজুল হক বলেন, বুধবার সকাল থেকেই কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকরা আন্দোলন করছে। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা মহাসড়ক ছেড়ে চলে যান। পরে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। বেলা ১১টা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুর অংশে যান চলাচল পুরোদমেই স্বাভাবিক হয়েছে।
অপরদিকে টঙ্গী উপজেলায় বাটা সু কোম্পানির শ্রমিকরা চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ হয়েছে। কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিরচালা এলাকায় ট্রান্সকম বেভারেজে ২০ দফা দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার থেকে আন্দোলন করে আসছিল শ্রমিকরা। বুধবার সকালেও তারা ভারতীয় কর্মকর্তাদের অপসারণ, দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে নিয়োগকৃত শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ীকরণ, ৫ তারিখের মধ্যে বেতন প্রদান, নারী শ্রমিকদের নৈশকালীন ডিউটি বাতিলসহ ২০ দফা দাবি জানিয়েছেন।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।