রংপুরে সকালেই সড়কে ঝরল ৫ জনের প্রাণ
Nasir Uddin | প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩:২৫
রংপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২৪ জন। এর মধ্যে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রংপুর মহানগরের সাতমাথা চায়না হল এলাকায় বাসের ধাক্কায় থ্রি-হুইলারের তিন যাত্রী নিহত হন। এতে আহত হন অন্তত চারজন। অপরদিকে পীরগঞ্জে দুই বাসের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন ২০ যাত্রী। এ ছাড়া রংপুরের নজিরের হাট এলাকায় বাসের ধাক্কায় আরও এক পথচারী নিহত হন।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে রংপুর নগরের চায়না মোড়ে ঢাকা-কুড়িগ্রাম মহাসড়কে বাসের সঙ্গে তিন চাকার মাহিন্দ্রার সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন তিন জন ও আহত হয়েছেন আরেকজন। নিহত তিনজনের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার মীরবাগের শাহিন আলম (২৫) ও কুড়িগ্রামের উলিপুরের দরগাপাড়ার রমজান আলী (২৯)। পুলিশ বলছে, নিহত তিনজনই মাহিন্দ্রার আরোহী ছিলেন। ঘন কুয়াশার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
রংপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মাসুদ আলম জানান, মূলত ঘন কুয়াশার কারণে এই দুর্ঘটনা। মাহিন্দ্রাকে চাপা মেরে কোচটি চলে গেছে। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সড়কে যান চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম গামী একটি নাইট কোচ ও কুড়িগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা রংপুর গামী তিন চাকার মাহিন্দ্রা গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মূলত ঘন কুয়াশার কারণে কোচটি মাহিন্দ্রার মুখোমুখি হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাহিন্দ্রার তিন যাত্রী মারা যান। তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে পীরগঞ্জে দুই বাসের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন ২০ যাত্রী। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের বড়দরগাহ হাইওয়ে ফাঁড়ি থানার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ছাড়া রংপুরের নজিরের হাট এলাকায় বাসের ধাক্কায় আরও এক পথচারী নিহত হন। তারও নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কুড়িগ্রামগামী সাদিকা তালুকদার পরিবহনের একটি বাস যাত্রী নামাচ্ছিল। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রংপুর এক্সপ্রেসের একটি বাস সাদিকা তালুকদার পরিবহনের বাসের পেছনে জোরে ধাক্কা দেয়। এতে রংপুর এক্সপ্রেসের সামনে এবং সাদিকা তালুকদার পরিবহনের পেছনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। ফলে ২০ জন আহত হন। গুরুতর অবস্থায় ৬-৭ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা যান।
পুলিশ ফাঁড়ির ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, জনসাধারণ, পুলিশ সদস্য ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা উদ্ধার কাজ চালায়। বাস দুটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।