বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১

পাবনায় যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

Nasir Uddin | প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০২৫, ১০:১৭

ফাইল ছবি

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় আমিরুল ইসলাম মাস্টার নামে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। সোমবার (১০ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার গৌরীগ্রাম ইউনিয়নের চক পাটা উত্তরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নিহত আমিরুল ইসলাম উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের ক্ষেতুপাড়া গ্রামের লোহাই প্রামাণিকের ছেলে এবং ক্ষেতুপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী ছিলেন। তিনি উপজেলা যুবলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব বিরোধের জের ধরে রাত ৮টার দিকে ক্ষেতুপাড়া গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী ইউনুসের ছেলে ইমু, আলতাবের ছেলে সালেক, চাঁদের ছেলে মিঠুসহ বেশ কয়েকজন আমিরুলের ভাই সাবেক ইউপি সদস্য আশরাফ আলীকে মারধর করেন। এ খবর শুনে আমিরুল সেখানে গেলে অভিযুক্তরা তাঁকে সিএনজিতে করে তুলে কিছু দূরে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক এনজামামুল হক বলেন, তিনি আনার পথে গাড়িতেই মারা গেছেন। নিহতের ভাই আশরাফ আলীকে আহত অবস্থায় সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহতের ভাই আশরাফ আলী মেম্বার জানান, কয়েক বছর আগে স্থানীয় বাজারে চায়ের দোকানে তাদের সঙ্গে একটু ঝামেলা হয়েছিল। বর্তমানে কোনো সমস্যা নাই। সোমবার রাতে তারা আমাকে মারধর করে এবং আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে। আমি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

নিহতের ভাতিজা সোহেল জানান, সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে এসে কিছু লোকজন আমার চাচা আশরাফ মেম্বারকে মারধর করে এমন শুনে তাৎক্ষণিক আমিরুল মোটরসাইকেল নিয়ে সিএনজিকে ধাওয়া করে তাদের ধরে ফেলে। এরপর সিএনজিতে থাকা প্রতিপক্ষরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে বুকে-পেটে কুপিয়ে হত্যা করে।

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান জানান, আমরা ঘটনাস্থলে আছি। ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সোমবার রাত ১১টা) মামলার প্রক্রিয়া চলছিল।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top