সৈয়দপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের জন্য আর কত অপেক্ষা?

নীলফামারী থেকে | প্রকাশিত: ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০০:২৫

সৈয়দপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের জন্য আর কত অপেক্ষা?

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীক্ষনে বাংলাদেশ। ভাষা অন্দোলনের পেড়িয়ে গেছে ৭৯ বছর। কিন্তু এখনো নীলফামারীর সৈয়দপুরে কোনও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মিত হয়নি। এ বিষয়ে কয়েক বার মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়নে নেই কোন কার্যকর পদক্ষেপ। উপজেলা ও পৌর প্রশাসন একে অপরকে দোষারোপের মাধ্যমে বরাবরই দায়িত্ব এড়িয়ে চলছে।

এছাড়া অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকায় নতুন প্রজন্ম ভুলতে বসেছে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস। সৈয়দপুর পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ক্ষমতার পালাবদলে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির নেতারা মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

দেশের ব্যতিক্রমী সৈয়দপুর শহর অবাঙালি প্রধান হওয়ায় এখনো বাংলার পাশাপাশি উর্দু ভাষায় মাইকিং, মসজিদে খুতবা, ওয়াজসহ পাড়া-মহল্লায় আলোচনা সভাও হচ্ছে। বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেও এ শহরে আজও এর পরিপূর্ণ প্রয়োগ লক্ষ করা যায়নি।

সরেজমিন দেখা গেছে, শহর ও গ্রামের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার। এমনকি নির্মাণ করা হয়নি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারও। শহরের উত্তরকোনে রেলওয়ের এবং পশ্চিমকোনে সৈয়দপুর সরকারি কলেজের রয়েছে নিজস্ব শহীদ মিনার। বিজয় ও স্বাধীনতা দিবসে রেলওয়ের এবং ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে স্থানীয় ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্মিত নিজস্ব শহীদ বেদিতে প্রতিবছর উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আসছে। আর এতে নতুন প্রজন্ম ভুলতে বসেছে ৫২-এর ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস।

সৈয়দপুরবাসীর দাবি, বর্তমান দিনবদলের সরকার অতি দ্রুত এখানে স্থানীয়ভাবে একটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ করে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরবে মহান ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস।

সৈয়দপুর সরকারী কলেজের সাবেক শিক্ষক হানিফ উদ্দীন বলেন, রফিক, বরকত, সালাম, জব্বারের নাম জানলেও শিশুরা জানে না তাঁদের পরিচয়। বাংলাদেশর ওয়ার্কাস পার্টির সৈয়দপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রুহুল আলম বলেন, প্রথম শ্রেণির সৈয়দপুর পৌরসভা বছরে ২০-২৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করলেও শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য তারা কোনও বরাদ্দ রাখে না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সৈয়দপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র জিয়াউল হক জিয়া জানান, এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা বিশ্বব্যাংকে দেয়া আছে। তবে জায়গা পাওয়া না যাওয়ায় শহীদ মিনার নির্মাণ সম্ভব হচ্ছেনা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসিম আহমেদ বলেন, উপজেলার আগামী মাসিক সভায় এ ব্যাপারে আলোচনা করে খুব দ্রুত শহীদ মিনার নির্মাণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।

এনএফ৭১/জেএস/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top