সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫, ২১ আশ্বিন ১৪৩২

দহগ্রাম-আঙ্গরপোতায় ঢুকছে তিস্তার পানি

মিঠু মুরাদ | প্রকাশিত: ৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪৬

দহগ্রাম ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দেখা দিয়েছে আকস্মিক বন্যা । ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দেখা দিয়েছে আকস্মিক বন্যা। ফলে নদীতীরবর্তী বহু ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে শত শত পরিবার। ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসন খুলে দিয়েছে পাঁচটি আশ্রয়কেন্দ্র।

রোববার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তার ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ২৫ মিটার, যা বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর। রাত ১২টায় পানিপ্রবাহ বেড়ে দাঁড়ায় ৫২ দশমিক ৫০ মিটারে যা বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটারের ওপরে।

পাটগ্রাম উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার সকাল থেকে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সহায়তায় রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, সাম্প্রতিক ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তার পানি হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় দহগ্রাম ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্লাবন দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে প্যানেল চেয়ারম্যান, পিআইও, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। জনসাধারণের নিরাপত্তার স্বার্থে পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ত্রাণ কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য একটি কন্ট্রোল রুমও স্থাপন করা হয়েছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার জানান, কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাত এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। তিনি বলেন,

“তীরবর্তী এলাকাগুলোর মানুষকে অগ্রিম জানানো হয়েছে যেন তারা প্রস্তুত থাকে। ক্ষয়ক্ষতি কমাতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. শায়খুল আরিফিন বলেন, বর্তমানে তিস্তা তীরবর্তী অঞ্চলে রোপা আমন, চিনা বাদাম ও শাকসবজির চাষ হচ্ছে।

“পানি যদি তিন থেকে চার দিন স্থায়ী হয়, তাহলে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। তবে এক থেকে দুই দিনের মধ্যে পানি নেমে গেলে তেমন ক্ষতি হবে না। আমরা চেষ্টা করছি ক্ষতি যেন কম হয়।”

 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top